![বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষায় ইউনিসেফের আহ্বান: ‘আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে’ বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষায় ইউনিসেফের আহ্বান: ‘আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে’](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-26-2502131842.jpg)
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা হৃদয়বিদারক এবং উদ্বেগজনক। জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এবার ইউনিসেফ বাংলাদেশ তাদের ওয়েবসাইটে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।সেখানে বলা হয় বাংলাদেশের শিশুদের সাথে যেন আর কখনো এরকম মানবতা বিরোধী কাজ না হয়।
ওয়েবসাইটে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে বলা হয়,“প্রতিবেদন অনুযায়ী ১লা জুলাই থেকে ১৫ই আগস্টের মধ্যে যে ১,৪০০ ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন , তাদের মধ্যে শতাধিক ছিল শিশু। ইউনিসেফ এইসকল মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে - আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি। ”
এসময়, নারীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের হুমকির মতো সহিংসতা বেড়ে যায়, যাতে শিশুদেরও কোনো রেহাই ছিল না। অনেক শিশু হত্যা, পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অমানবিকভাবে আটক এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ধানমন্ডিতে ১২ বছর বয়সী একটি বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যায়, আর নারায়ণগঞ্জে ৬ বছর বয়সী একটি শিশু মাথায় গুলি খেয়ে মৃত্যুবরণ করে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে, ১২ বছর বয়সী এক বাচ্চা ৫ আগস্টের ঘটনায় “বৃষ্টির মতো গুলি চলছিল” বলেছে, এবং অন্তত এক ডজন মৃতদেহ সে নিজের চোখে দেখেছিল।
এই ঘটনা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য এক অশান্ত সময় তৈরি করেছে। ইউনিসেফ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা না ঘটে। ইউনিসেফ বিশেষভাবে তিনটি বিষয় তুলে ধরেছে: প্রথমত, নিহত শিশুদের পরিবারগুলোর জন্য বিচার নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়ত, আটক শিশুদের পুনর্বাসন এবং তৃতীয়ত, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার।
এছাড়া, ইউনিসেফ আইনগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে, যেখানে শিশুদের জন্য বিশেষ আদালত, আইনি সহায়তা এবং শিশু-সংবেদনশীল তদন্ত ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত এবং সুরক্ষিত সমাজ গড়তে ইউনিসেফ একটি কার্যকরী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
এই সময়টিকে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে ইউনিসেফ এবং তারা আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আর কোনো শিশু এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার শিকার না হয়।
সূত্র:https://tinyurl.com/y29jntrt
আফরোজা