![ভলকার তুর্ককেও জামায়াত নেতারা নামাজে ডাকছিলো? ভলকার তুর্ককেও জামায়াত নেতারা নামাজে ডাকছিলো?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/5-5-2502131439.jpg)
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, শোয়েব আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন।
শোয়েব আবদুল্লাহ তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন,জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদন নিয়ে অনেক আলাপ চলতেছে। একটা আলাপ দেখলাম জামায়াত এবং শিবির কিভাবে কো-অপারেট করে নাই সেটা নিয়া। এটা দেখে একটা কষ্টের আবার ফানি অভিজ্ঞতা মনে আসলো। ভাবছিলাম লিখবোনা কোনোদিন।
জুলাই হত্যাযজ্ঞের একটা কেস ইনভেস্টিগেট করার সময় লাশের তথ্য মেলাতে পারছিলাম না উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, আমরা হঠাৎ করে আমাদের এক টিম মেম্বার লাশের ছবি দেখে সেই নিহত ব্যক্তির ঠিকানা খুঁজে বের করে দিলেন। নিহত সেই ভদ্রলোক জামায়াত কর্মী ছিলেন। ঠিকানা পেয়েই আমাদের টিম লিড সাথে সাথে শহীদের স্ত্রীর নাম্বারে ফোন করে অনেক অনুরোধ করে কথা বলার জন্য একটু সময় চেয়ে নিলেন। উনি ঢাকার অদূরে থাকেন।
আমাদের টিম লিড আগের রাতে ঘুমান নাই। আমিও সেম। তবুও আমরা সাথে সাথে গাড়ি নিয়া সেখানে দৌড়। এশারের টাইমের একটু আগে পৌছাইলাম। জামায়াত আধ্যুষিত এলাকা। আমরা সবাই বিধ্বস্ত। নেমে এক দোকানদারকে নিহত সেই ভাইয়ের নাম নিয়া তার বাসা জিজ্ঞেস করলাম।
দোকানদার সহজ মনে দুইজন জামায়াত নেতাকে দেখায়ে দিয়া বললো- ওনারা ভালো বলতে পারবেন, ওনারা জামায়াত ইসলামী করেন। আমি সালাম দিয়া তাদের ভিক্টিমের বাসার ঠিকানা জিগাইলাম।
এই দুই লোক, দাঁড়ায় প্রথমে আমাদের জেরা করলেন। শেষ করার পর কোনো উত্তর না কড়া হুকুম দিয়া বললেন "নামাজে চলেন।"
বললাম- চাচা মাত্র আজান দিলো, নামাজে তো যাবো আপনি বলেন বাসাটা কই?
উনি নগদে আবার চার্জ - "নামাজে যাইতে ইচ্ছা করে না?" আমি এবার একটু আপসেট হইয়া বললাম- চাচা বাসার ঠিকানাটা দিলে উপকার হইতো। উনি আবার আমাকে প্রায় ধমকের স্বরে নামাজে যাইতে হুকুম দিলেন।
শেষে আমি একটু অসহায় হইয়া বললাম " আপ্নে কি এখন বাইন্ধা নামাজ পরাবেন মোসাফিরগো?"
ওনারা দুইজন বাসার সামনে দাঁড়ায়ে আমাকে ধমকাইতেছিলেন কিন্তু বাসার ঠিকানা শেষ পর্যন্ত দেনই নাই। পরে শহিদের স্ত্রী দশ তলা থেকে আমাদের টিম লীড বড় ভাইকে দেখে পরে বাসার ঠিকানা দেন।
সো এই হইলো জামায়াত এবং তার জাস্টিস সেন্স। আমার ধারণা ভলকার তুর্ককেও জামায়াত নেতারা নামাজে ডাকছিলো। উনি যান নাই দেখে কোনো যোগাযোগ করে নাই। এখানে জামায়াতের দোষ নাই। এটাই বাস্তব।
ফুয়াদ