![আয়নাঘরে বন্দি ছিলাম, কাঁঠাল গাছই ছিল আমাদের সাক্ষী আয়নাঘরে বন্দি ছিলাম, কাঁঠাল গাছই ছিল আমাদের সাক্ষী](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-1-4_13-24-3-2502130736.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দীশালা, যা "আয়নাঘর" নামে পরিচিত, নিয়ে আরও একটি নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক তাসনিম খলিল। ২০২২ সালে নেত্র নিউজে "আয়নাঘরের বন্দী" শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর, তাসনিম খলিল বন্দীশালার সাবেক বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
তাসনিম খলিল তার পোস্টে বলেছেন, "আয়নাঘর" পরিদর্শন করার সময় তার মাথায় ঘুরছিল কাঁঠাল গাছের চিত্র। তিনি গাছটি খুঁজে পেতে চান, কারণ একটি সাবেক বন্দী তার বর্ণনায় ওই গাছটির উল্লেখ করেছিলেন। খলিল বলেন, "বন্দীশালার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমি কাঁঠাল গাছ দেখতে কেমন সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম।" তবে, কিছু সময় পর, খলিল তার অনুসন্ধান শুরু করেন এবং বিভিন্ন ভেরিফিকেশন মেলানোর জন্য তিনি প্রাক্তন বন্দী মোবাশ্বের হাসানের সঙ্গে ভিডিও কল করেন। মোবাশ্বের নিশ্চিত করেন যে, এটি সত্যি ছিল এবং তার নির্যাতনকালীন সেলে ১৯ নম্বর সেলের সঠিক চিহ্ন ছিল।
এরপর খলিল আয়নাঘরের অন্যান্য সেলগুলোর উপরেও নজর দেন এবং তাদের মধ্যে আরও কিছু চিহ্ন খুঁজে পান, যেমন সেলগুলোতে নতুন রঙ করা এবং অন্যান্য সজ্জা পরিবর্তন। খলিল বলেন, "সবগুলো সেলের দেয়ালে নতুন রং করা হয়েছে — কটকটে গোলাপী। ডিজিএফআইয়ের কোন ফেমিনিস্ট কর্মকর্তা এই কাজ করেছে কে জানে!"
পরিদর্শনের সময়, খলিল আয়নাঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে কাঁঠাল গাছের উপস্থিতি শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, "কাঁঠাল গাছগুলো ওরা মুছে ফেলেনি। আয়নাঘরের সাক্ষী হয়ে কাঁঠাল গাছগুলো এখনও দাঁড়িয়ে আছে।"
এছাড়াও, খলিল আয়নাঘরের বিভিন্ন সেলের সাথেও পরিচিত হন, যেখানে বিভিন্ন বন্দী দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি তার পোস্টে আরও জানান, বন্দীশালার ভেতরে শয়নকক্ষে সেল নম্বর, বাথরুম, এবং অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্পষ্টভাবে মিলে গেছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই পোস্ট শেয়ার করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1AAd67nEb1/
মারিয়া