ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

ফ্যাসিবাদী শাসনের নির্মমতার প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে আযমী

প্রকাশিত: ১২:০৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১২:১০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফ্যাসিবাদী শাসনের নির্মমতার প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে আযমী

ছবিঃ সংগৃহীত

বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আযমী, যিনি দীর্ঘ আট বছর ওই স্থাপনায় আটক ছিলেন।

এই পরিদর্শনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ফেসবুক বিবৃতিতে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, "বাংলাদেশ তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বেও নজিরবিহীন ঘটনা যে, একজন সরকার প্রধান তার পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী শাসনের নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সেই নির্যাতনস্থল পরিদর্শন করেছেন। এটি সব শাসকের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।"

নির্যাতনের চিহ্ন মুছে ফেলার অভিযোগ
ব্রিগেডিয়ার আযমী তার বিবৃতিতে দাবি করেন, আয়নাঘরের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে, যাতে নির্যাতনের চিহ্ন বোঝা না যায়। তার ভাষায়—

দরজার গ্রীলের কপাট ও স্টিলের দরজা খুলে কাঠের দরজা লাগানো হয়েছে।
জানালার গ্রীল সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এবং জানালার কালো আস্তর মুছে কাঁচ স্বচ্ছ করা হয়েছে।
নির্যাতন কক্ষের দেয়াল ভেঙে ভেন্টিলেটর বানানো হয়েছে এবং রুমের আকার বড় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
যে কক্ষে নির্যাতন চালানো হতো, তার সকল আলামত সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, "এটি নিঃসন্দেহে অপরাধীদের দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। যারা এই পরিবর্তন করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।"

অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি
ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও তারা এখনো মুক্ত অবস্থায় রয়েছে, যা তার নিরাপত্তার জন্য শঙ্কার কারণ।

তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড— এই নীতির ভিত্তিতে দ্রুত বিচার কার্যকর করা হোক, যাতে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়।"

পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন যারা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা, আরও চারজন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার আযমী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, "এই পরিদর্শন ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।"

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1Bp6TqNh2V/

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×