ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬৬ শতাংশ রাইফেলের গুলিতে মারা গিয়েছেন? প্রতিবেদন কী বলছে?

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১১:২২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬৬ শতাংশ রাইফেলের গুলিতে মারা গিয়েছেন? প্রতিবেদন কী বলছে?

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মানবাধিকার কর্মকর্তা ভলকার তুর্কের ১১৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন এমনভাবে মানুষ হত্যা করতে যেন লাশও খুঁজে না পাওয়া যায়। ফরেনসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিহতদের ৬৬% মিলিটারি গ্রেড রাইফেলের গুলিতে মারা গেছেন, এবং শনাক্তকৃত সকল লাশে প্রায় একই ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া, শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগস্টের শুরুতে সেনাবাহিনী যখন শেখ হাসিনাকে সহায়তা করতে আপত্তি জানায়, তখনই তিনি দেশত্যাগ করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, জোরপূর্বক গুম, যৌন নির্যাতন এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে। ভারত সরকারের কাছে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে, এত গুরুতর অপরাধের পরও আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে কোনো লজ্জা বা অনুশোচনা দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তারা আসলে কী দিয়ে তৈরি? অন্যদিকে, ভারত, যাকে বাংলাদেশের বড় বন্ধু হিসেবে ধরা হয়, কেন একজন বহুমুখী অপরাধীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে, তা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। জাতিসংঘের এই ভয়াবহ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশের পরেও ভারত কি মানবতাবিরোধী এই অপরাধীকে আশ্রয় দেবে?

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি সেখানে কীভাবে অবস্থান করছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিছু সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকার তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রদান করেছে, যা নিয়ে তিনি বিশ্বের যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে, এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে শেখ হাসিনার বিচার এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/15pF7fjtMd/

জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখতে ক্লিক করুন https://www.facebook.com/share/p/15pF7fjtMd/

মারিয়া

×