![আন্দোলনকারী নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেয় আওয়ামী লীগ, জড়িত ছিলো পুলিশও? আন্দোলনকারী নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেয় আওয়ামী লীগ, জড়িত ছিলো পুলিশও?](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-1-4_8-54-54-2502130300.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় নারী আন্দোলনকারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের উসকানিতে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র এবং কিছু ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। নারী আন্দোলনকারীদের নিরুৎসাহিত করতে তাদের অপদস্থ করা হয় এবং যৌন হয়রানি করা হয়, এমনকি ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকজন নারী বেআইনিভাবে আটক হন এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। আন্দোলনের সময় শিশুদেরও নির্যাতন করা হয়, যার মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার এবং অমানবিক পরিবেশে আটকের ঘটনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় এক নারী আন্দোলনকারীকে কয়েকজন পুরুষ ধরে তার চুল টেনে জামা ছিঁড়ে ফেলে এবং যৌন হয়রানি করে, পাশাপাশি গায়ে নখ দিয়ে আঁচড় কাটে। ঢাকায় আরেক নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের হুমকি দেয় ছাত্রলীগের দুই কর্মী এবং পরে অশ্লীল মন্তব্য ও যৌন হয়রানি চালায়।
কুমিল্লায় ছাত্রলীগ কর্মীরা কয়েকজন নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি আন্দোলন দমনে নিরাপত্তা বাহিনী এবং দলীয় কর্মীরা সাংবাদিকদেরও আক্রমণের শিকার করে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1Acu8xjnz8/
মারিয়া