![১০ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হবে ১০ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হবে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/b6-2502121811.jpg)
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়া রোজার আগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বেক্সিমকোর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টারা এ তথ্য জানান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে আপনারা যদি বাজারে দেখেন রমজানের যত পণ্য- খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনি; শুধু তেলে একটা সমস্যা বিরাজ করছে।
আশা করি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী হয়ে যাবে এবং সরবরাহের যে ঘাটতি ঘটেছে সেটা দূর হবে। তিনি বলেন, ‘রমজান সামনে রেখে ছোলা, বুট, খেজুর, ডাল, চিনির দাম অস্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ নেই। এসব পণ্যের সংকটও নেই। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে।
অনেক দোকানে বোতলজাত ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম রাখা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দোকানদার সয়াবিন তেল বিক্রির সঙ্গে অন্য পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে বিক্রি করছেন।
এদিকে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেক্সিমকো অ্যাপারেল প্রথমে লে-অফ, পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যেটা বন্ধ করা হয়েছে, দেনা যতটুকু আছে সেগুলো এই মাসের মধ্যে শোধ করা হবে। এর অগ্রগতি জানার জন্য মিটিং হয়েছে। বেশ ভালো অগ্রগতি আছে আমি বলব। যা যা দরকার যতটুকু টাকা দরকার ততটুকু টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে।
একজ্যাক্ট (প্রকৃত) কত টাকা সেটা নতুন প্রশাসক এসেছেন, তিনি পুরো হিসাব করে বের করবেন, আমরা আবার আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বসব। আশা করি দ্যাটস ফাইনাল। তিনি বলেন, সব ব্যাংকের এমডি আসবেন, তারা কোথা থেকে রিসোর্স নেবেন, যে টাকাটা হিসাবে আসবে সেই টাকাটা যার যার পাওনা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে এই মাসের মধ্যেই, ইনশা আল্লাহ। তার মানে রোজার আগেই।
রোজার আগে আমরা পাওনাগুলো দিয়ে দিতে চাই। সেখানে ২৭ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। প্রত্যেকটি শ্রমিকের যার যা পাওনা তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে কত টাকা সেটি এখনো হিসাব করা হয়নি।
দায়দেনা পরিশোধের অর্থ অর্থ বিভাগ থেকে আসবে নাকি শেয়ার বিক্রি করে নেওয়া হবে- এ বিষয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আপনারা জানতে পারবেন। অনেকগুলো সম্ভাবনা আছে, অর্থ বিভাগ থেকে হতে পারে। শেয়ার বিক্রি নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে সেগুলো দূর করা যায় কি না, সুতরাং ওটা বিক্রি হবে হবে নাকি সম্পদ বিক্রি হবে- তা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত হবে।
১৮ তারিখের মধ্যে হিসাব করে আমাকে জানাবে যে, এই পরিমাণ টাকা লাগবে এবং এই পরিমাণ টাকা আছে। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ শ্রমিকরা দক্ষ, তারা বেকার হবেন না। এ ছাড়া গার্মেন্টস সেক্টরে জনবলের পাঁচ থেকে সাত শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। আমরা এত সংখ্যক লোককে বেকার থাকতে দিতে পারি না, কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা হবে।