![সার্ক ও বিমসটেক সদস্য দেশগুলো অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে সার্ক ও বিমসটেক সদস্য দেশগুলো অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-1-3_19-25-28-2502121332.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেছেন, সার্ক ও বিমসটেকের মধ্যে কোনো পারস্পারিক দ্বন্দ্ব নেই এবং সদস্য দেশগুলো তাদের অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে বিমসটেকের সহায়তা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার বিমসটেক অফিসে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্ককে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার আহ্বান জানান। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিমসটেক থেকে সরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইন্দ্র মণি পান্ডে আরও বলেন, "সার্ক ও বিমসটেক দুটোই আঞ্চলিক সংস্থা এবং এই দুই সংস্থার মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। একটি দেশ একাধিক ফোরামে কাজ করতে পারে। একাধিক দেশ সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য, আবার কিছু দেশ আসিয়ানেরও সদস্য। এই ধরনের একাধিক সদস্যপদে কোনো সমস্যা নেই। সকল সংস্থার লক্ষ্যই হলো দেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং এটি একাধিক প্ল্যাটফর্মে সম্ভব।" তিনি জানান, আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইস্যুতে অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিমসটেক মহাসচিব জানান, ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। তবে, সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করবে। এ প্রসঙ্গে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বৈঠকের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টা ব্যাংককে যাবেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বরের জন্য পরিকল্পিত বিমসটেক সম্মেলন থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। এই সম্মেলন ছিল ড. ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর, এবং সেই সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে।
বিমসটেক মহাসচিব দাবি করেন, বিমসটেক কখনও চীন বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্ল্যাটফর্ম নয় এবং আগামী শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে এবং তারা বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সম্মান জানিয়ে, তিনি জানান, এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ডিকাবের সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মারিয়া