![উপদেষ্টা আদিলের দিকে অভিযোগ যা বললেন তাসকিন ফাহমিনা উপদেষ্টা আদিলের দিকে অভিযোগ যা বললেন তাসকিন ফাহমিনা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/WhatsApp-Image-2025-02-12-at-61817-PM-2502121227.jpeg)
ছবিঃ সংগৃহীত।
অধিকার কর্মী ও ফেসবুক একটিভিস্ট তাসকিন ফাহমিনা তার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, শুধুমাত্র তিন বছর রাস্তায় চিল্লাচিল্লি করা ব্যক্তি একটা বড় প্ল্যাটফরম ( যেটা তাঁর বোন সারাদিন খেটেখুটে চালাতেন ) নিজে হস্তগত করে, ভিক্টিম পরিবারকে "নেটওয়ার্ক থেকে লাত্থি মেরে ফেলে দিবে" এমন হুমকী দেয়- তাকে নাকি আদিল ভাই আয়নাঘর পরিদর্শন করতে দেয় নাই। আদিল ভাইয়ের এতো ক্ষমতা কি আছে? থাকলে তো তাঁর পুরানো সঙ্গঠন অধিকার এর প্রতিনিধিদের উনি আয়নাঘরে নিয়ে যেতেন।
ওই ' আমি আমি ' করা ব্যক্তির আসল রাগ অন্যখানে। গুয়াংজু পুরস্কারের জন্য সেই ব্যক্তি পাগল হয়ে গেছেন। তিনি সারাদিন মিডিয়ার সামনে থাকতে ভালবাসেন- আদিল ভাই তাঁকে মনোনীত করেননি এই অভিযোগ তুলে তিনি তাঁর পোষাদের আদিল ভাই এর পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন।আদিল ভাই ০৮ অগাস্ট থেকে অধিকার এর সাথে নাই। তাই তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কারণ অধিকার এর ইমেইল উনার কাছে যায়না। তবে আমি ভাবি এই মহিলার পুরস্কারের এত লোভ কেন? ভিক্টিম/ পরিবারের সাথে যারা খারাপ ব্যবহার করতে পারে সে মানবাধিকার কর্মী হতেই পারেনা। আগে তো তিনি প্রতিদিন আদিল ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলে বলে পরামর্শ নিতেন আর সব নেটওয়ার্ক আদিল ভাইই তাকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন।
অধিকার এ যেমন দারুন, প্রচন্ড দরদী মানবাধিকার কর্মী কাজ করেছেন- সেই সাথে সুবিধাভোগী, সুযোগসন্ধানীরাও ছিল। তাদের একজন রেজা। তার এক্সিডেন্ট হবার পর অধিকার সাধ্যমত আর্থিক সহায়তা করেছে, তাকে বিভিন্ন নেটয়ার্কের সাথে পরিচিত করেছে। কই হাসিনার আমলে তো তাকে কথা বলতে দেখিনি! তার নোংরা ব্যবহারের জন্য আমরা তাকে ডাকিও না। আদিল ভাইকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলে নেবার পর আমরা যখন শাহবাগে মিটিং করলাম- সেখানে রেজা উকি মেরেছিল। ঘুম থেকে উঠে হাসিনা যেমন খালেদা জিয়ার নাম নেয়- সেভাবে সে হররোজ আদিল ভাইয়ের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালায়।
হাসিনার আমলে অধিকার এর উপর এত অত্যাচার/ নির্যাতন সত্তেও ঢাকার বাইরের প্রায় সবগুলো গুমের পরিবারকে অধিকার খুজে খুজে এনে 'মায়ের ডাক' নামের প্ল্যাটফরমের সাথে যুক্ত করেছিল। আমি সহ অধিকার এর অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলাম এই কারণে যে আমরা কষ্ট করে, রিস্ক নিয়ে কাজ করি আর এরা নাম কামায়। আদিল ভাই বলেছিলেন" মানবাধিকার এর কাজ সবাইকে নিয়ে, সহায়তা করে করতে হয়"।
সবাইকে নিয়ে মানবাধিকার করার রেজাল্ট হল রেজা, তুলি, সায়ের। ভিক্টিম / পরিবার দ্বিধাভক্ত। আর সব দোষ নন্দ ঘোষ- আদিল ভাইয়ের।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক