![সংস্কারে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সংস্কারে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/b6-2502111754.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্টিন রেইজার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় বিশ্বব্যাংকের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। তারা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন, সুশাসন এবং কর প্রশাসন, ডিজিটালাইজেশন সংস্কারসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাংক কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় ও পরিসংখ্যানসহ স্বচ্ছতা ও সুশাসন উন্নয়নে জরুরি কিছু সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং ভবিষ্যত সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব সংস্কার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অখণ্ডতার প্রতি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের আস্থা জোরদার করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সুশাসন উন্নত করতে কর প্রশাসন ও করনীতি পৃথকীকরণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কর ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত জাতীয় সংসদ।
প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ছয়টি কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সুবিধার্থে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর জুলাই সনদে সই করবেন, যা অন্তর্বর্তী সরকার এবং পরে রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং তথ্য-উপাত্তের মান উন্নয়নে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা সুষ্ঠু নীতি নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।
বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিবরণসহ একটি শক্তিশালী ডিজিটাইজেশন এজেন্ডার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়। রেইজার বলেন, যেসব দেশে শক্তিশালী ডিজিটাল শনাক্তকরণ অবকাঠামো রয়েছে তাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকাকে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে পারে।