![কেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ করা সারজিসকে নেতা মেনেই হাসিনাকে ফেলতে হলো, জানালেন সাদিকুর কেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ করা সারজিসকে নেতা মেনেই হাসিনাকে ফেলতে হলো, জানালেন সাদিকুর](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-1-2_20-42-47-2502111443.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
ফেসবুকে এক পোস্টে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান খান লিখেছেন, “আমি ছাত্রলীগার সার্জিসকে চিনতাম না, আমি চিনেছি সেই সার্জিসকে, যে ক্যাম্পাসে বসে পড়েছিল—চোখ-মুখ লাল করে ঘোষণা দিয়েছিল, ‘আমার ক্যাম্পাস আমি ছাড়ব না, দরকার হলে মরব, তবু ছাড়ব না।’”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যদি ছাত্রলীগ করা অপরাধ হয়, তবে সার্জিস আলম সেই অপরাধের কাফফারা দিয়েছেন।”
গত জুলাই মাসে নিরাপদ ক্যাম্পাস আন্দোলন শুরু হলে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করে সরাসরি আন্দোলনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে সার্জিস আলম ও তার সহযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাদিকুর রহমান খান বলেন, “রাজনীতিতে সময়কে ধারণ করা, নিজের ভুলকে স্বীকার করে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় বিপ্লব। এই বিপ্লবটাই ছাত্রলীগ করা সার্জিসরা করেছিলেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো নেতাই এই সাহস দেখাতে পারেননি। ২০১৩ সালের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ হোক বা ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ—কোনো ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতারা মাঠে থাকতে পারেননি। অথচ সার্জিসরা পেরেছেন।"
তাঁর মতে, সরকার পতনের আন্দোলনে জনগণের আস্থা পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সার্জিসদের মতো সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।
এদিকে, আন্দোলনকামী অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, সার্জিস আলম বা তার সহযোদ্ধারা অতীতে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা এখন বিবেচ্য নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা গত জুলাই-আগস্ট মাসে কী ভূমিকা রেখেছেন।
“আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম, তারা আমাদের পাশে আছে কি না। এবং তারা ছিল। তারা আন্দোলন স্থগিত করেনি, ভয় পেয়ে পালায়নি। আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ছিল। আমাদের কাছে এটুকুই যথেষ্ট,”—বলেছেন এক শিক্ষার্থী।
আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যায় ইতিহাসে কীভাবে লেখা হবে, তা সময়ই বলবে। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে যাঁরা মাঠে ছিলেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করা অনৈতিক হবে—এমনটাই মনে করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/18cYUCM85h/
মারিয়া