![শহীদদের ৮০% এর বেশি তৌহিদী জনতা শহীদদের ৮০% এর বেশি তৌহিদী জনতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-67-2502111247.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তৌহিদী জনতা শুধু মাদরাসার ছাত্ররা নয়। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া লোকদের তালিকা এবং তাদের জীনাচার দেখলেই বোঝা যায় শহীদদের ৮০% এর বেশি তৌহিদী জনতাই। আমি বরং এটা নিয়ে কথাবার্তা বলি যে, বৈষাআ-জানাক তাদের রাজনীতিটা শহীদদের তালিকার দিকে তাকিয়ে তৈরি না করে ক্ষমতার স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরি করছে। ফলে আমার আপত্তিটা কোথায় ছিলো, সেটা আগে আপনাকে ডিটেক্ট করতে হবে।
গত ৪-৫ বছর ক্যাম্পাসে আমার যে লড়াই, সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারলে সামনে আসুক। যে লোক আমার উপর ক্ষোভ দেখাচ্ছে একটা লেখার জন্য, তার জন্যই যে আমি লড়ে গেছি এবং এখনো লড়ছি, সেটা বোঝার ক্ষমতা তার থাকলে তো হতোই। কিন্তু আমি অডিয়েন্সের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সুর পরিবর্তন করার লোক না। যেটাকে ভুল বলেছি, বুঝেশুনেই বলেছি। এখনো বলছি ভুল। এই যে শক্ত করে বলছি, এটাও আপনার উপকারের জন্য।
গতকালের ঘটনায় সব দোষ যে ওই প্রকাশনা সংস্থার, এটা বুঝতে তো রাত ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগে না। নিষিদ্ধ বই উঠানো, অনলাইনে প্রতিবাদকারীদের ট্যাগিং, এমনকি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সবটাই তো অপরাধ। আমার ক্ষোভটা ছিলো কোথায়? প্রতিবাদের ধরণ নিয়ে। বইমেলা কতটা স্পর্শকাতর জায়গা এবং সেখানে কত কী ফাঁদ পাতা আছে, সেটা তো সাধারণ ছেলেপেলে বুঝবে না। ফলে স্যোশাল মিডিয়ায় হুটহাট আহ্বান করে লোক জড়ো করে প্রতিবাদ জানানোর এই পদ্ধতি ভয়াবহ দিকেও যে চলে যেতে পারে, এটা কি আপনারা বুঝেন না? কালকে না হয় তাদের প্ল্যানটা ভালো করে এক্সিকিউট করতে পারেনি দেখে বাঁচা গেছে। নাহয় এই একটা ইস্যু দিয়ে ওরা কতদূর কী করতে পারে, সেটা দীর্ঘদিন এখানে পড়ে থাকা আমরা তো বুঝি অন্ততঃ।
আমার লড়াই এই টুপি, দাঁড়ি, হিজাব তথা শি'আরে ইসলামের উপর যে কোনো আঘাতের বিপক্ষে। আমার লড়াই এখানকার কালচারাল স্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে। যে জন্য ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ কিংবা কিংস পার্টিতে থাকার এই মোক্ষম সময়েও নিজেকে আলাদা করে রেখেছি। কারণ আমার লক্ষ্য একটু ভিন্ন। আমার মঞ্জিল দীর্ঘ। আমাদের দেশে একটা কথা আছে, উপকারে কপালে লাত্থি। এগুলো আমি জেনেই কাজ করি। আল্লাহ তা'আলা সহায়।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক