![সীমান্তে বন্ধ হচ্ছে বিএসএফের নজরদারি! সীমান্তে বন্ধ হচ্ছে বিএসএফের নজরদারি!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/f353a12e-3a4e-4d99-81a1-7ff4acb20d40-2502111220.jpg)
ছবি: সংগৃহীত।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সিসি ক্যামেরা স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির জোরালো অবস্থান ও তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ শূন্যরেখা থেকে সিসি ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে আলমগীর হোসেনের বাড়ির উঠানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট অনীল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।
পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯এস-এর ৯৭৮ নম্বর পিলারের পাশে রবিবার দিবাগত রাতে শূন্যরেখার একটি ইউক্যালিপটাস গাছে বাংলাদেশের দিকে মুখ করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানালে তারা বিএসএফকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং ক্যামেরাটি অপসারণের দাবি জানায়। এরপর দিনভর বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, "বৈঠকে শূন্যরেখায় নির্মিত জোড়া মসজিদ এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জোড়া মসজিদ এলাকার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা ক্যামেরাটি স্থাপন করেছে। তবে আমাদের জোরালো প্রতিবাদের পর ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসি ক্যামেরাটি অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।"
এছাড়া বৈঠকে শূন্যরেখায় নির্মিত টিনের স্থাপনা অপসারণ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ না করা এবং উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সায়মা ইসলাম