![শেখ হাসিনা ৩২ ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায় জানিয়েছেন আওয়ামী সিনিয়র নেতা শেখ হাসিনা ৩২ ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায় জানিয়েছেন আওয়ামী সিনিয়র নেতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/1-2-2502110530.jpg)
বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এক আওয়ামী সিনিয়র নেতার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
আজ মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ৩ টায় জুলাকার নাইন সায়ের এই পোসস্ট করেন।
পোস্টে সায়ের উল্লেখ করেন,আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,"ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিক ভাবে বেশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কিন্তু ভবনটি ধ্বংসের পর সম্প্রতি তারা বেশ সক্রিয় হয়েছেন, হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায়।
তিনি তাঁর পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, কিন্তু দেশে কোন নেতা না থাকায় কর্মীদের সংগঠিত করার মতো অবস্থা নেই। আর যেসব নেতা এখনো দেশে লুকিয়ে আছেন তারা এক প্রকারের আতংকে আছেন। এই সিনিয়র নেতা উল্লেখ করেন; যেসকল নেতা-নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন তারা দলের কাউকে না জানিয়ে, শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ, অনেকেই বলেছেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত এ সকল নেতাদের একটা বড় অংশ বেশ অর্থ সংকটে আছেন বলেও তিনি জানান, কারণ এভাবে চলে যাওয়ার কারণে তারা কেউই তেমন টাকা পয়সা সাথে করে নিতে পারেননি। কারোই কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। আর বেশিরভাগই সম্পদ গড়েছেন অন্যের নামে। যা আদায় করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপু'র কথা বলেন। তিনি দাবি করেন আমু'র সবই অন্যের নামে করা, আর বিপু'র দুবাইতে করা সব বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ্যমে হয়েছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামদানি আর ফেরত দিচ্ছেন না। বিপু ও তার স্ত্রী এই মুহূর্ত ভারতে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান, তিনি আরো বলেন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে আছেন, ফজলে তাপস আছেন সিংগাপুর আর বাদ বাকীরা দুবাই-কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কয়েকজন অস্ট্রেলিয়াতে।
বর্ডার পার হয়ে নিরাপদে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন বলেও তিনি জানান"।
সায়ের অবশ্য তাঁর পোস্টে আওয়ামী লীগের সেই সিনিয়র নেতার নাম উল্লেখ করেন নি।
ফুয়াদ