![মিডিয়াকে শায়েস্তা করা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম! মিডিয়াকে শায়েস্তা করা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/07-2502101937.jpg)
সমন্বয়ক সারজিস আলম
মিডিয়াকে শায়েস্তা করা প্রসঙ্গে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, মিডিয়াকে শায়েস্তা করা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের পরিকল্পনা করা উচিত। যারা আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছে। এই শায়েস্তা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। এখন পর্যন্ত আমরা দেখি যে, সফট ওয়ার্ড দিয়ে তাকে প্রমোট করা হয়। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ইত্যাদি বলা হয়।
সারজিস আলম বলেন, এই খুনি হাসিনার আদেশে এক থেকে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। আমরা বলতে চাই যে, যে মিডিয়া,সঠিকভাবে কাজ করবে না। সফটকর্ণার হিসেবে কাজ করবে। ক্ষমতার দিকে ধাবিত হবে। স্বৈরাচারকে প্রমোট করবে। তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সেক্ষেত্রে কোন একটি ব্যক্তি হতে পারে, কোন একটি প্রতিষ্ঠান হতে পারে। কোন একটি হাউজ হতে পারে। তাদের অবশ্যই শায়েস্তা করতেই হবে এবং আইনগত ভাবেই করতে হবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শায়েস্তা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সামনে যখন একটার পরে একটা অন্যায় হতে থাকবে। আমি যখন কোন প্রতিবাদ করবোনা। একথাটি কিন্তু আজ থেকে পাঁচ মাস আগে বলেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বলা শুরু করেছে। যে অভ্যাসটি গত ছয় মাস আগে তাদের ছিল। যখন আমরা কথা বলছিনা। নিরব থাকছি। তখন তারা ধীরে ধীরে এই সুযোগটি নিচ্ছে।
বর্তমানে এই তরুণ প্রজন্ম যারা অভ্যুত্থানের সময় ছিল। তারা একটা সমস্যার মধ্যদিয়ে সময় পার করছে। বাংলাদেশের পুরো মানুষ। হয় এরা ভালো মানুষ। না হয় এরা ভালো হয়ে যাবে। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শক্তের ভক্ত নরমের যম। এই জন্য আপনাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শক্ত হতে হবে। যদি না হন, তাহলে অনেকেই আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
প্রধান দুই নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, আমাদের মধ্যে যদি এমন কিছু থাকতো। তাহলে আন্দোলনের পরে আমরা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতাম না। জামায়াতের সাথে কথা বলতাম না। আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলেছি। সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছি এবং এই আন্দোলনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের প্রত্যেকের সাথেই আমরা কথা বলেছি।
শহীদ