ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

ধানমন্ডি ৩২ ভাঙা এবং শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়ে দেশবাসীকে স্পষ্ট করলেন পিনাকী!

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১২:৫৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধানমন্ডি ৩২ ভাঙা এবং শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়ে দেশবাসীকে স্পষ্ট করলেন পিনাকী!

ছাত্র জনতার আন্দোলনে গেল বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আত্নরক্ষা করেন সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। যে ছাত্রদের বুকে গুলি চালানোর কারণে জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষিত তৈরি হয়, সে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নেন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ।

শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হাসিনার ভাষণের কথা৷ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো মাত্র সারা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।গণঅভ্যুত্থানের প্রতিটি শক্তির পক্ষ থেকে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া ।কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাষণে প্রতিক্রিয়া কী ভাবে দেখানো হবে তা নিয়ে নানা ধরনের মত আসতে থাকে।

ছাত্র জনতা সিদ্ধান্ত নেয় রাত ৯ টায় হাসিনার বক্তব্যের সময় শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে।

রাত নয় টার কথা বলা হলেও ছাত্র জনতা রাত ৮ টার কিছু পরেই গাঁইতি শাবল হাতে করে নিয়ে ধানমন্ডির বাসা ভাঙতে শুরু করে। এসময় ফেসবুক লাইভে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ঈদ মোবারক জানিয়ে শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙার বিষয়ে লাইভে কথা বলার জন্য পিনাকী ভট্টাচার্য কে সরাসরি যুক্ত করেন।

লাইভে যুক্ত হয়ে পিনাকী ও সমগ্র ছাত্র জনতাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।এ বিষয়ে পিনাকী বলেন, ঈদ মোবারক ইলিয়াস।

সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য বাড়ি ভাঙায় বাধা দিচ্ছে সাংবাদিক ইলিয়াসের এমন প্রশ্নের জবাবে পিনাকী বলেন, সেনাবাহিনী নিজ ইচ্ছায় বা রাষ্ট্রীয় নির্দেশে আসে নাই। প্রথমত সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়নি। সেনাবাহিনী সিভিল পাওয়ারে মোতায়েন আছে। তার মানে সিভিল পাওয়ার যখন সেনাবাহিনীকে ডাকবে তখন সেনাবাহিনী আসবে তো সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ সরকার আহ্বান জানায়নি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহ্বান জানায়নি, প্রচার অনুষ্ঠান জানায়নি, সেনাবাহিনী আসছে ওয়াকারের নির্দেশে।

সাংবাদিক৷ ইলিয়াস এসময় ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার ইতিহাস ও কারণ জানতে চাইলে পিনাকী বলেন,বাড়িভাঙার বিপ্লবীর স্মারক মানে বিষয়টা হচ্ছে যে, বিপ্লব বিজয়ে একটা স্মারক থাকতে হয়, আমরা ১ টা  স্মারক অর্জন করেছি, শেখ মুজিবের মূর্তি আমরা সেটা ভেঙেছি৷ এবং ফ্যাসিবাদের যে আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২  নম্বরের সেটাও আমরা রাখব না। ফরাসি বিপ্লবে বাস্তিল দুর্গ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এই ২৪ বিপ্লবে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আমরা গুঁড়িয়ে দেব এটাই আমাদের লক্ষ্য।

আওয়ামী পন্থি অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙার প্রতিবাদ করছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পিনাকী বলেন,হুমায়ূন আহমেদের যে এই শুটিং স্পটটা যেটা শাওন দখল করেছে, হুমায়ূন আহমেদ আমাদের জাতির সম্পদ এবং যে সৃষ্টি করেছে সেটাও জাতির সম্পদ। এই সম্পদটাকে জাতীয় সম্পত্তি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এই সম্পদ নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ জাদুঘর বানাবে এটাই আমাদের আজকের লক্ষ্য হওয়া উচিত। শাওন এটা দখল করে রাখছে ব্যক্তিগত স্বার্থে।

তিনি আরো বলেন, হূমায়ূন আহমেদ আমাদের এমন একটা সম্পদ। তার সম্পদ তাঁর সৃষ্টি। এটা সকলের অধিকার আছে, সকলের হক আছে এটাতে। এটাতে মানুষের হক প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই সময় শাওনকে থামাতে নুহাশ পল্লীকে সরকারিকরণের পরামর্শ দেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

পিনাকী আরো বলেন, এখানে হুমায়ূন আহমেদ জাদুঘর বানানো হবে। হুমায়ূন আহমেদ পল্লী বানানো হবে এবং এটাতেআমরা যাবো দেখব এবং এখানে আমরা হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণ করব। এটা কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারবে না।

রাজনৈতিক দলগুলো কয়েকদিন আগে ভারত ও আওয়ামী লীগ প্রশ্নে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসছিল তা আবারও জাগিয়ে তোলার জন্য পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে ধন্যবাদ জানান। কিছুদিন আগে থেকে রাজনৈতিক দলগুলো ভারত প্রশ্নে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে যে একটা নরম অবস্থান নিয়ে ছিল উল্লেখ করে পিনাকী বলেন, থ্যাঙ্ক ইউ। তোমার অ্যাক্টিভিজম এবং আমাদের সম্মিলিত অ্যাক্টিভিজম এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মত পোষণ করছে।

ফুয়াদ

×