ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেসব পদক্ষেপ নিলো সরকার

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেসব পদক্ষেপ নিলো সরকার

সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের অর্থনীতি : সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে খাদ্য নিরাপত্তার বর্তমান পরিস্থিতি এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দুই দফা ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় আউশ ও আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৫ লাখ এবং ৩.৫৮ লাখ টন কম হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের মোট কার্যকরী মজুত সক্ষমতা ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮ টন। তবে বর্তমানে খাদ্যশস্যের মজুত রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টন, যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলা হয়, মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি অর্থবছরে আরও ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরিয়া সারের স্টক প্রায় ৮ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে, যা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ বাবদ ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাবদ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মূলত ওএমএস, টিসিবি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সারা বছর চলমান রাখার লক্ষ্যে বর্ধিত হারে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এছাড়াও অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকৃত চাষীদের ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মাঠ পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যান্য উপায়ে যেসব ব্যবসা সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অনুসরণে চাষীদের জন্য একটি ব্যবসা মডেল তৈরি করার বিষয়টি বিবেচনা করা।

চাল, ডাল, তেল, আলু ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বার্ষিক চাহিদা দেওয়ার সঙ্গে বর্তমান মজুতের তুলনাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদি চাহিদার প্রক্ষেপণ এবং এসব পণ্য সরবরাহের রূপরেখা তৈরি করা।

চাল, আলু, পেঁয়াজসহ কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক শুল্ক হ্রাস/অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।

খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য উপকরণ সরবরাহের রূপরেখা তৈরি করা। কৃষি ও খাদ্যদ্রব্য মজুত সংরক্ষণে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুদাম ও হিমাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

 

×