![বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে ভারতের পুরনো দাদাগিরি নীতি বদলাতে হবে:ভারতীয় কূটনীতিক বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে ভারতের পুরনো দাদাগিরি নীতি বদলাতে হবে:ভারতীয় কূটনীতিক](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-70-2502100251.jpg)
এক মাস আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্র বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবিমতে, তিনি ঢাকা সরকারকে কঠোর তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের জন্য ছিল এক ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ কার্যত এই শর্তগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।ভারতের শর্ত প্রত্যাখ্যানের পরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করেছে, যা নয়াদিল্লির জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক এবং পাল্টা সফর এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম যেমন ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস দাবি করছে, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কৌশলগত বার্তা যে, তারা শুধু ভারতের শর্ত মানার জন্য বসে নেই, বরং কৌশলগত বিকল্প খোলা রেখেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। একদিকে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা হচ্ছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে অতীত বৈরিতা ভুলে নতুন সংযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নয়াদিল্লির জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এতদিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের প্রভাব ছিল ব্যাপক, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেই নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছে। ভারতের এক কূটনীতিকের ভাষায়,“নয়াদিল্লী যদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তবে তাদের পুরনো দাদাগিরি নীতি বদলাতে হবে।”
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সামরিক ও কূটনৈতিক সংযোগ ভারতের জন্য বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল শীতল, কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দৃশ্যপট বদলেছে। বাংলাদেশ এখন আর কোনো একক শক্তির ওপর নির্ভর করতে চায় না। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ ভারতের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র:https://tinyurl.com/5tt95ex
আফরোজা