ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

অভ্র’র সফলতার গল্পে নতুন অধ্যায়: মেহেদীর একুশে পদক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৮:৫০, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অভ্র’র সফলতার গল্পে নতুন অধ্যায়: মেহেদীর একুশে পদক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলা লেখার প্রযুক্তিগত বিপ্লবের অগ্রদূত ডা. মেহেদী হাসান খান ২০২৫ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি জনপ্রিয় বাংলা কিবোর্ড অভ্র-এর উদ্ভাবক, যা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য লিখনপ্রক্রিয়াকে সহজতর করেছে। তবে তাঁর পুরস্কার গ্রহণ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে জানান, মেহেদী হাসান খান শুরুতে পুরস্কার গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। এর আগেও তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি তা নাকচ করেছিলেন। তবু সরকার তাঁকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করে, যেন সমাজে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যায়—কে সত্যিকারের উদ্ভাবন ও অবদানের জন্য সম্মানিত হওয়া উচিত।

ফারুকী জানান, মেহেদী হাসান খান শেষ পর্যন্ত পুরস্কার গ্রহণে রাজি হন, তবে তিনি এককভাবে এটি নিতে চাননি। তিনি তার তিন সহযোগী—রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা—যাঁরা অভ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদেরও স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ গ্রহণ করেছে এবং দলগতভাবে চারজনকেই একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এখন এই চার উদ্ভাবক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে আসছেন পুরস্কার গ্রহণের জন্য। মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী লিখেছেন, "আমি নিশ্চিত, এটি অনেক তরুণকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে—সব বাধা পেরিয়ে এবং একসঙ্গে।"

ডা. মেহেদী হাসান খান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক, নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

অভ্র কিবোর্ড উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে ডিজিটাল বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁদের  অসামান্য অবদান একুশে পদকপ্রাপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল।

সায়মা ইসলাম

×