![পুলিশের ডিআইজি-এসপিসহ আটক ৪ পুলিশের ডিআইজি-এসপিসহ আটক ৪](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/04-2502081344.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের একজন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও তিনজন পুলিশ সুপার (এসপি) আটক হয়েছেন। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকায় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
একই দিনে রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় আটক করা হয়। তাকে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অতীতে খুন, গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বলপ্রয়োগের অভিযোগে সমালোচিত হন। এর আগে, সিটি টিসির পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ ওঠে।
অন্যদিকে, ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বলপ্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হন।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং পরে তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, নজরুলসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।
এম.কে.