ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলায় উত্তাল গাজীপুর: ওসি সাসপেন্ড, আটক ১৬

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলায় উত্তাল গাজীপুর: ওসি সাসপেন্ড, আটক ১৬

ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গাজীপুর। হামলার প্রতিবাদে শনিবার দিনভর শহরে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয় সমাবেশে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনভর জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্ররা এসব কর্মসূচি পালন করে। জাতীয় নাগরিক কমিটি মূখ্য সমন্বয়ক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। এদিকে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার জন্য জিএমপি’র সদর থানার ওসি মো. আরিফুর রহমানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক এডভোকেট আলী নাসের খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা এম এম শোয়ায়েব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ওই সংগঠনের গাজীপুরের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মুহিমসহ স্থানীয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজবাড়ী মাঠ থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের রেলক্রসিং পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে ফের জেলা প্রশাসকের কর্যালয়ের সামনে রাজবাড়ি সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করে। দুপুর আড়াইটার দিকে সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদের সাথে যোগ দেন।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে ছাত্রজনতা বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো গাজীপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা সোস্যাল মিডিয়ায় এখনো আমার যোদ্ধাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। অন্তর্বতী সরকার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা-পুলিশ আজ রাতের মধ্যে হামলার সাথে জড়িত খুনিদের যদি না গ্রেপ্তার করে তাহলে আমাদেরকেও তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। বিগত দিনগুলোতে আমরা গ্রেপ্তার-গ্রেপ্তার খেলা দেখতে পেয়েছি। একদল গ্রেপ্তার করে, দুইদিন পর আদালত বিচারক নামের কিছু অকালকুষ্মাণ্ড, যারা খুনি হাসিনার দোসর তাদেরকে জামিন দিয়ে দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলি- হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট  ও প্রত্যেকটা জেলা থেকে ওই খুনির দোসর বিচারকদের অপসারণ করতে হবে। টাকার বিনিময়ে, উপঢৌকনের বিনিময়ে অনেক দাগি আসামীদের জামিন দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট করে বলি- আজকের পর থেকে যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কোন ক্যাডার আমার ভাইদের কোন হুমকি দেয়, তাহলে পরদিন চরম পরিণতি হবে। আমার কোন ভাইয়ের গায়ে যদি একটা দাগ লাগে, তাহলে সেই দাগ প্রশাসনের চেয়ারে এসে লাগবে। 

তিনি বলেন, সকালে প্রশাসনের সাথে বৈঠক হয়েছে। সেখানে বলে এসেছি গ্রেপ্তার খেলা বন্ধ করেন। এসব সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য নতুন এক অপারেশন চালাতে হবে। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের বের করতে হবে। আমরা তাদের বলেছি, এই ক্লিন বাংলাদেশ অপারেশন দুই-এক দিনের গ্রেপ্তার অভিযানের মত হলে চলবে না। আমরা কিছুদিনের মধ্যে পুরো বাংলাদেশে গর্ত থেকে বের হয়ে যেসব সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথে উঁকি দিচ্ছে, তাদের সবাইকে জেলখানার ভিতরে দেখতে চাই। গাজীপুরের রাজপথ থেকে একটা কথা স্পষ্ট করে বলি- বাংলাদেশের কোথাও আমার কোন সহযোদ্ধার গায়ে কেউ হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো দেশ নতুন করে জেগে উঠবে। আমরা যেমন গাজীপুরে আসতে পারি, তেমনি প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারি। আমরা অভ্যুত্থানে দেখিয়েছি এদেশের ছাত্রজনতা সঠিক রাস্তা বিনির্মানে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বহু ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু ধৈর্যের একটা বাঁধ আছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা কাজ করছেন, তারা যদি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে ফেলেন, তাহলে এই বাংলাদেশে নতুন আরেকটি বিপ্লব আপনাদের দেখতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, স্পষ্ট করে বলছি- গতকালকের হামলায় যেসব সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল, তাদেরকে আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ১৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারসহ প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাদেরকে একটি ব্রিফিং করার কথা। আমারা সেজন্য অপেক্ষা করছি। আমরা প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই। আমারা এখানে অবস্থান করব, প্রশাসনের কাজ দেখব। অপেক্ষায় আছি। যতক্ষণ না আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।

 

গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার, ওসি সাসপেন্ড

বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান ছাত্রদের বিক্ষোভস্থলে যান। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন, যে বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, যে বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদকে আপনারা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন, সেই ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো দেশে রয়ে গেছে। তারা মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাদের কোনো মাথাচাড়া বরদাশত করা হবে না। আপনাদেরকে আমি বলতে চাই, আপনাদের শরীরে যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রক্ত, আমার শরীরেও সেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী রক্ত। গতরাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমি পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, ব্যর্থতা স্বীকার করছি। পাশাপাশি আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমি তাদেরকে ছাড় দেব না, তাদের প্রত্যেকের আঘাতের প্রতিঘাত দিতে চাই। যারা আপনাদেরকে আঘাত করেছে তাদের প্রত্যেককে এই আঘাতের শিকার হতে হবে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, আমরা এক এক করে সবাইকে খুঁজে বের করব। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই এখানকার যেসব পুলিশ রেসপন্স করতে দেরি করেছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। 

তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আমার ওসি দুই ঘণ্টা পর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আমি বলতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না। এতদিন যে ফ্যাসিবাদ পুলিশ তৈরি হয়েছে, এই ফ্যাসিবাদ থেকে পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে, জনগণের পুলিশ হতে হবে। ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অদ্যরাতে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দমন করার জন্য ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হবে।

 
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, দেশের সম্পদ পাচার করেছে। তারা জানত দিন শেষে তারা দেশে থাকবে না। এজন্য দেশ থেকে তারা ২৬০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। কিন্তু আমাদেরকে এই দেশেই থাকতে হবে, তাই এ দেশের সম্পদ আমাদের, এই দেশের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, পুলিশ যেহেতু আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নিশ্চয়তা দিয়েছে, এই জন্য আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করতে চাই। তবে আমরা সহযোগিতা করব তার মানে এই নয় যে, পুলিশ মামলা বাণিজ্য করবে, আজকে ১৫ জনকে ধরে কালকে জামিন দিয়ে দিবে। আমরা বলতে চাই- সাবেক আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই, এরা হচ্ছে গণহত্যাকারী, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলতে কিছু নেই, মোজাম্মেল হচ্ছে গণহত্যাকারী। 

তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে জানতে হবে, কোথায় আমাদের থামতে হবে। দেশের কল্যাণ, সামগ্রিক উন্নতি, সামাজিক নিরাপত্তা, ২৪ পরবর্তী দেশের উন্নতি করতে হবে। আমাদের ছাত্র নাগরিকদের সাথে নিয়ে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ আমরা বিনির্মাণ করব। প্রশাসন যদি মনে করে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। 

গাজীপুরের কমিশনার যেহেতু আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন, এই অন্তবর্তী সরকার ছাত্র নাগরিকদের যেহেতু প্রতিনিধিত্ব করছেন, এই জায়গা থেকে ঊনি যে কমিটমেন্ট দিয়েছেন এর প্রতি আমরা আস্থা রাখছি। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যারা এই হামলায় জড়িত ছিল, যারা ১৭ বছর ধরে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, এই গাজীপুরকে সন্ত্রাসের আতুরঘর বানিয়েছে, তাদের আমরা এই অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্য দিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে চাই।

এরপর বিকেল ৫টার দিকে ছাত্ররা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রমের দাক্ষিণখান এলাকার বাড়িতে কিছু লোক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় মন্ত্রীর অনুসারী আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি একই সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের কিছু লোক ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। পরে তারা কয়েকজনকে ধরে বেধড়ক পেটানো শুরু করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহবায়ক নাবিল বলেন, লুটপাটের খবর পেয়ে আমাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের) একটি গ্রুপ লুটপাট প্রতিহত করতে ওই বাড়িতে যায়। আমি গিয়ে দেখি ছাত্ররা লুটপাট থামাচ্ছে। এসময় এলাকার কিছু মুরুব্বি ওইটা দেখছিল। আমি মুরব্বীদের বলছিলাম আপনারা কেন থামাচ্ছেন না। এ কথা বলার দুই-তিন মিনিটের মাথায় কিছু উঠতি বয়সের ছেলে বড় বড় রাম দা নিয়ে এসে বলে ধর এদের একটাকেও রাখব না। এসময় আমাকেসহ ছাত্রদের মারধর করতে থাকে। ছাত্রদের বলি দৌড়ে পালাতে।  

তিনি আরো বলেন, সদর থানা, বাসন থানা ও টঙ্গী থানা পুলিশকে ফোন করি তারা আমার কাছে একটা ঘন্টা ধরে শুধু জানতে চেয়েছে এডজ্যাক্ট ঘটনা কি? কোথায় ঘটছে, রাস্তা কোনটা, বাসা নাম্বার কোনটা। তিনি বলেন, আড়াই ঘন্টা পর পুলিশ আসে। ততক্ষণে হামলাকারীরা চলে যায়। প্রশাসন অবহেলা না দেখালে ছাত্ররা এত আহত হত না।

জানা গেছে, হামলার খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে ছাত্ররা আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। 

শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, রাতে আহত অবস্থায় ১৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁরা হলেন, বিকাশ (১৫), সামিউল ইসলাম (১৮) রাসেল (২১), শুভ শাহরিয়ার (১৭), হামজা (২১), কাশেম (১৭), আকরাম (২৪), হিমেল (২২), রোহান (২২), নাঈম (২১), ইয়াকুব (২০), গৌরব (২১), হাসান (২২), সাগর (২৩) ও সাজ্জাদ (২১)। গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন, শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)।

এদিকে ছাত্র আহত হওয়ার খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রাতেই হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি মূখ্য সমন্বয়ক সার্জিস আলম ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি আহত ছাত্রদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। নেতৃবৃন্দদ্বয় এসময় চিকিৎসার ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথেও কথা  বলেন। 

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/মো. মহিউদ্দিন

আরো পড়ুন  

×