![লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রাথমিকের শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রাথমিকের শিক্ষকরা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-47-2502081138.jpg)
সংগৃহীত
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকেরা তাদের চাকরিতে যোগদানের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত দুদিন ধরে তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের দাবি, বর্তমান সরকারের আমলেই তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে, সম্প্রতি হাইকোর্ট দুই দিন আগে তাদের সুপারিশ প্রাপ্তের তালিকা বাতিল করে দেয়। ৩১ জন শিক্ষক রিট দাখিল করার পরই এই তালিকা বাতিল হয়, যার পর থেকে তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল, তারা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর থেকে তারা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচিতে বলছেন যে, জুলাই আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে রাস্তায় ছিলেন। এরপর এই সরকারই তাদেরকে সুপারিশ প্রাপ্ত করেছিল চাকরির জন্য। এবং সেই সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পরে তারা অনেকেই যে চাকরিতে ছিলেন, যে চাকরিতেই ছিলেন, সেই চাকরিগুলো তারা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তাদেরকে এই সুপারিশ প্রাপ্ত থেকে বাতিল করায়, তারা একটি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অসংখ্য শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত যারা রয়েছেন, তারা এই আন্দোলন করছেন। তারা বলছেন, চাকরি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তারা এই লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এর মধ্যে দুই একজন আছেন, যারা আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। যে, তারা যদি চাকরি না হয়, তাদের জীবন এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, সেখান থেকে আসলে তারা এই ফেরত যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সে কারণেই তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিকেল নাগাত তারা এখান থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার একটি কর্মসূচি দেবেন।
সেরকমই আভাস এখানকার যারা সমন্বয়ক রয়েছেন এই আন্দোলনের, তারা বলছেন যে, তারা বিকেল নাগাত জাতীয় শহীদ মিনারে যাবেন এবং সেই শহীদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এভাবেই তারা পুরো এই আন্দোলন তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত, এই আন্দোলন এই রাজধানীতে চালিয়ে যাবেন। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কেন, আসলে এতগুলো আন্দোলন?
এরকম আন্দোলন কেন? এটিকে আসলে তারা কিভাবে দেখছেন? তারা বলছেন যে, তাদের জীবন যেখানে চলে গেছে, তাতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন জায়গাতে তারা গিয়েছেন, তাতে কোন কাজ হয়নি। যে কারণে তাদের সড়কে নামতে হয়েছে। তারা যে নেমেছেন, সেটিকে তারা যৌক্তিক দাবি বলছেন। কারণ তারা অনেকেই এই চাকরিতে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। যে কারণে তারা একটি আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের যে নিশ্চয়তা, সেটি নিয়েও সংকটে পড়েছেন।
সূত্র:https://tinyurl.com/bdhft8y8
আফরোজা