![একদিকে কূটনীতি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রস্তাব, অন্যদিকে হাসিনাকে আশ্রয়? ভারতের দ্বৈতনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সায়ের একদিকে কূটনীতি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রস্তাব, অন্যদিকে হাসিনাকে আশ্রয়? ভারতের দ্বৈতনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সায়ের](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/befunky_2025-1-6_17-34-12-2502081136.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে। একদিকে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছে, অন্যদিকে গণহত্যার মূল হোতাদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক জুলকারনাইন সায়ের এক পোস্টে এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলছে, অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকার এবং তার দোসরদের আশ্রয় দিয়ে তাদের রক্ষা করছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শ্রী রণধীর জয়সওয়াল সম্প্রতি বলেছেন, "ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, যা সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।" কিন্তু জুলকারনাইন সায়েরের মতে, ভারতের এই বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না।
তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের শত শত নেতা ও কর্মকর্তারা, যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দমন-পীড়ন ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে, তারা বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, "কেন আওয়ামী লীগের নেতারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে পারে এবং নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে, অথচ বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়? কেন গণহত্যার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ডদের রক্ষা করছে ভারত?"
জুলকারনাইন সায়ের বলেন, "এরা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নয়, এরা মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড। ভারত যদি গণহত্যাকারীদের আশ্রয় দেয়, তবে তা শুধু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি।"
তিনি সতর্ক করে বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ যদি ভারতকে তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে না চিহ্নিত করে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।"
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত যদি সত্যিকার অর্থে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তাহলে তাকে তার নীতির স্বচ্ছতা নিয়ে পুনরায় ভাবতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/15zEffGJEC/
মারিয়া