ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির দুটো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে বইমেলায় বই বিক্রিরত অবস্থায় তাকে দেখা গেছে। প্রথম ভিডিওতে কাফি এক সুন্দরী মেয়ে ভক্তকে ছয়টি গোলাপ ফুল দিয়ে উইশ করছিল এবং পাশে অন্য অন্য একটি মেয়েকে একটিও দেননি ।এমনকি তার দিকে তাকানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি তার এক নারী ভক্তের হাত ধরে টানাটানি করছেন। নেটিজেন দের মধ্যে এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
তারা বলছেন, একজন নারীর সবচেয়ে বড় যোগ্যতা কি তার চেহারা! একজনের প্রশংসা করতে গিয়ে পাশে থাকা আরেকজনকে অবহেলা করা, তাকে কম গুরুত্ব দেওয়া—এটা কি ঠিক? এরা-ই এখন সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে, জাতির পথপ্রদর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছে! অনেকে বলছেন টিকটকার যখন বই লেখক হয় তখন এমন তো হবেই। কেউ কেউ রীতিমতো কুত্তা কাফি বলে তাকে ছোট করছেন।
তারিফা আল হাসান নামে একজন তার পোস্টে লিখেছেন, ভিডিওতে দেখলাম, কাফি শাড়ি পরা এক মেয়ের চেহারার প্রশংসা করছে। আশপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করল, "এই মেয়েটা কয়টা ফুল পাওয়ার যোগ্য?" তারপর ছয়টা গোলাপ দিয়ে তার সঙ্গে সেলফি তুলল।
কিন্তু আমার দৃষ্টি ছিল একদম ভিন্ন জায়গায়—শাড়ি পরা মেয়েটার পাশে দাঁড়ানো বোরখা পরা মেয়েটার দিকে। কেউ যদি আপনার সামনে দাঁড়িয়ে অন্য কাউকে তার সৌন্দর্য, সাফল্য বা কোনো বিশেষ গুণের জন্য প্রশংসায় ভাসায়, তখন আপনি কেমন অনুভব করবেন?
নিজেকে কি তখন একেবারেই তুচ্ছ মনে হবে না? একজন নারীর সবচেয়ে বড় যোগ্যতা নাকি তার চেহারা! একজনের প্রশংসা করতে গিয়ে পাশে থাকা আরেকজনকে অবহেলা করা, তাকে কম গুরুত্ব দেওয়া—এটা কি ঠিক? এরা-ই এখন সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে, জাতির পথপ্রদর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছে!
সাকিব আহমেদ নামে একজন লিখেছে কাফি ভাই, কন্টেন্ট ক্রিয়েট আর সাহিত্য এক না, অনেক হয়েছে থেমে যাও ভাইয়া । নয়তো দেখবা পাবলিক একদিন থামিয়ে দিছে ধন্যবাদ।
শহিদুল ইসলাম নামের একজন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ডাক্তার সাবরিনা ও কাফি কে বই মেলায় নিষিদ্ধ করা হোক। এরা বই মেলাকে নষ্ট করে দিচ্ছে সেলফি মেলা বানাচ্ছে। একেকটা চুলের লেখক বা*** লিখে বইয়ে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক