ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

গাজীপুরের হামলা নিয়ে মিডিয়ার মিথ্যাচার: যা বললেন জাহিদ 

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাজীপুরের হামলা নিয়ে মিডিয়ার মিথ্যাচার: যা বললেন জাহিদ 

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান তার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, গাজীপুরে ছাত্রদের উপর হামলা বাংলা মিডিয়া যেভাবে ন্যারেইট করেছে, সেটা বিলকুল মিথ্যা। আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে শুনে থামানোর জন্য সেখানে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী। তারা মোজাম্মেলের বাড়িতে পৌঁছালে দরজা বন্ধ করে অপেক্ষমাণ ৪০০ জনের মত দেশীয় অস্ত্রধারী লোক তাদের উপর হামলা চালায়। রামদা দিয়ে কো*পা*নো হয়েছে, রড দিয়ে পিটিয়ে হাতের হাড় গুঁড়া করে দিসে, চোখের উপর বারি মেরে দৃষ্টিশক্তিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিসে। লক্ষ্মণীয় বিষয় হলো - মাথা ছাড়া শরীরের অন্যত্র কোথাও একটা কো*প দেয়া হয় নাই। সকল কো*প দেয়া হয়েছে মাথায়। তাজউদ্দীন মেডিকেলের ইন্টার্ন ডাক্তার আমাকে বললেন - একজনের মাথার ঘিলু দেখা যাচ্ছে। মানে একাধিক কো*প দেয়া হইসে মাথায়। 

তিনি আরো বলেন, বাংলা মিডিয়া আমাদের জানাইলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ডাকাতি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। এরা একটিবারও জানতে চাইলো না যে, বৈছাআর নেতারা যাওয়া মাত্রই চারশোজন অস্ত্রধারী, তাদের কথায় " এলাকাবাসী" হুট করে রেডি হইলো কিভাবে! তাদের মনে এই প্রশ্নটাও আসলো না যে, এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে কেনো প্রত্যেকটি কো*প মাথায়ই পড়বে। শরীরের অন্য কোথাও পড়বে না। ডাকাতকে পেটানো হয় এলোপাতাড়ি, এত শৈল্পিকভাবে না। এইসব রিপোর্টার আর এডিটরদের ন্যুনতম বিবেকবুদ্ধি কবে যে হবে! 

জাহিদ আহসান বলেন, জিএমপি কমিশনার, সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ওসি, ডিসি কারো সাহায্য পাননি আমার সহযোদ্ধারা। আড়াইঘণ্টা ধরে অনুনয়-বিনয় করার পরে মাত্র চারজন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গিয়েও তারা নির্লজ্জের মত অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। গতকাল থেকে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা নানাভাবে নাশকতার হুমকি দিয়ে আসছিলো। সন্ত্রাসীদের থেকে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কোনো পূর্বপরিকল্পনা তো ছিলোই না, বরং হামলার স্বীকার হওয়ার পরও তারা এনফোর্স করতে যথেষ্ট বিলম্ব করছে। যদিও পুলিশ হাতে চুড়ি পরেই বসেছিলো।

গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জীবন বিপন্নের মুখে। প্রতি মুহুর্তে তারা বিভিন্ন হুমকি পাচ্ছে। আওয়ামীলীগ এখন তাদের গায়ে হাত তোলে। আমরা ছাত্ররাই সারারাত ধরে দৌড়ে দৌড়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি, আর পুলিশ নাক ডেকে ঘুমায়। এই পাজিদের আমি চারআনাও বিশ্বাস করি না। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব কি আমাদের? আমরা কেনো দৌড়াবো? রাতের ঘুম হারাম করে, পড়ালেখা ছেড়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা আমাদের কাজ না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ঠিকঠাক করবে, মুজিববাদীদের সমূলে গ্রেফতার করবে।  নয়তো ইনক্বিলাব জিন্দাবাদ।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

আরো পড়ুন  

×