![ভাংচুর চলমান ধানমন্ডি ৩২ এ, মাটির নিচের ৫ তলা নিয়ে উৎসুক জনতা ভাংচুর চলমান ধানমন্ডি ৩২ এ, মাটির নিচের ৫ তলা নিয়ে উৎসুক জনতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/৩-49-2502080515.jpg)
ছবি: সংগৃহীত।
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আজও চলছে ভাঙচুরের কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ভারী যন্ত্রের সাহায্যে বাড়িটি ভাঙতে এবং সেখান থেকে রড সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে ভবনের সামনের অংশ তিনতলা পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কৌতূহলী মানুষজন আজও বাড়িটির সামনে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে বাড়িটির নিচে কথিত পাঁচতলা কাঠামো নিয়ে জনমনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। অনেকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে আসছেন।
বুধবার রাতে ভারতের পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। একই সময় ধানমন্ডির ৫ এ-তে অবস্থিত শেখ হাসিনার বাড়ি ‘সুধা সদনেও’ আগুন দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এই অভ্যুত্থানের ছয় মাস পূর্তির দিন, ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ফেসবুকে ‘বুলডোজার মিছিল’ ও ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।
প্রতিবাদকারীরা নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের বিরোধিতা করেন এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি ভেঙে ফেলেন।
উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের বাসস্থান ছিল। পরবর্তীতে এটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়।
সায়মা ইসলাম