![খালেদা জিয়াকে নিয়ে মুফতি আমিনীর যে বক্তব্য ভাইরাল খালেদা জিয়াকে নিয়ে মুফতি আমিনীর যে বক্তব্য ভাইরাল](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-24-2502080225.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী ঐক্য জোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছিলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চোখে যেভাবে অশ্রু দেখেছি ভবিষ্যতে যে কোন সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমরা কাঁদতে দেখব। খালেদা জিয়াকে যেভাবে অপমানিত, অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজন।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করে, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। বিএনপি ও সমর্থকরা এই উচ্ছেদকে অবমাননাকর ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা অভিযোগ করেন, আদালতের মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। জানিয়ে অনেকের মত মুফতি আমিনিও মন্তব্য করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সেই বাড়ি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা অন্যায় ছিল এবং এই পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এখনও বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়বস্তু।
মুফতি ফজলুল হক আমিনী ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ফকিহ, মুফতি এবং রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও হরতালের নেতৃত্ব দেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আমীনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা নিজ জেলার জামেয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসায় সম্পন্ন করে মুন্সীগঞ্জের মোস্তফাগঞ্জ মাদ্রাসায় তিন বছর অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে ঢাকার জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি পাকিস্তানের করাচির নিউ টাউন মাদ্রাসায় উলুমুল হাদিসের ওপর এক বছর অধ্যয়ন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের মাদরাসা-ই-নূরিয়ায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৫ সালে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় যোগদান করেন এবং ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি বড় কাটারা আশরাফুল উলুম মাদ্রাসাসহ আরও বেশ কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক