![নতুন রাজনৈতিক দলে কোনো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: সারজিস নতুন রাজনৈতিক দলে কোনো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: সারজিস](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/১১-1-2502071836.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশে এতদিন ধরে আমরা যে রাজনৈতিক দলগুলো দেখে এসেছি, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা দেখেছি, সেটা হচ্ছে পরিবারতন্ত্র। নিজের পরিবারের মধ্যে ক্ষমতাটাকে কুক্ষিগত করে রাখার যে চেষ্টা। আমরা আপনাদেরকে এখানে স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, তরুণদের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে যে নতুন বাংলাদেশ আসবে এবং এই নতুন বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক দলটি আসতে যাচ্ছে, এখানে ক্ষমতা কোন পরিবারের মধ্যে কেন্দ্রীভূত থাকবে না।
দুই নাম্বার, বিগত সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে কালচার ছিল, এই কালচারে আমরা স্পষ্ট করে একটা জিনিস দেখেছি, আমাদের যারা একবার নেতা বনে যান, তাদের পা আর মাটিতে থাকে না। তারা এমন ফেরেশতা লেভেলে চলে যান, যে তাদের যদি আপনি ভুল ধরিয়ে দেন, তারা আপনাদেরকে জাত শত্রু মনে করা শুরু করে।
এই তরুণ প্রজন্ম আপনাদেরকে কথা দিয়ে যাচ্ছে, আমাদের পা মাটিতে থাকবে এবং আমাদের যেকোনো ভুল শোনার জন্য, শুধরানোর জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকি। এই অভ্যুত্থানের পুরো সময়ে আমরা জনতাকে সামনে রেখে, জনতার দাবিকে সামনে রেখে কর্মসূচি দিয়েছি। গত ৫ই আগস্টে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা জানি, কিভাবে জনতার দাবিকে ধারণ করতে হয়। কিভাবে জনতার দাবিকে রাজপথে বাস্তবায়ন করতে হয়। আগামী রাজনৈতিক দলে বাংলাদেশের জনগণের চাওয়াই হবে এই রাজনৈতিক দলের আগামীর বাংলাদেশের ইশতেহার। এটা হচ্ছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
তিনি বলেন, আরেকটা ইম্পর্টেন্ট বিষয় হচ্ছে, এই বাংলাদেশে এতদিন এখানে যারা তরুণ প্রজন্মের অংশীদার আছেন, আমরা যারা রয়েছি, আগে পরিবারে ডিসিশন মেকিং এ আমরা শুধু বসে বসে চুপ করে শুনতাম। এখন আমরা মতামত দেই এবং সেই মতামতটাকে পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেয়। এই তরুণ প্রজন্মের যারা হয়েছে, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে যারা ভাবছে, এই অভ্যুত্থানে ভেবেছে, জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল, তারা ছিল আমাদের সহযোদ্ধা।
আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এই সহযোদ্ধারা এবং আমরা একই মানসিকতা ধারণ করি। একই বয়সের আমরা, এই যে জেনারেশনাল কনফ্লিক্ট, সেটার বাইরে গিয়ে একই চিন্তা চেতনাকে সামনে রেখে আগামীর বাংলাদেশে একসাথে পথ চলতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিগত বছরে যুগের পর যুগ ধরে শুধুমাত্র ক্ষমতামুখী ছিল। সেই জায়গায় আমরা এখন থেকে আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতামুখী। আমরা আপনাদেরকে স্পষ্ট করে একটি কথা বলি, আগামীর যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে অতীতের যে নষ্ট চর্চা গুলো, সেগুলো আমরা হতে দিব না। বিগত বছর গুলোতে হাসিনা, খুনি হাসিনা হতে পেরেছে। এর কারণ রাজনীতিবিদ মাঠে অনেক বড় কথা বললেও ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগের সাথে নেগোসিয়েশন করেছে।
এই তরুণ প্রজন্ম আপনাদেরকে একটা কথা দিয়ে যাচ্ছে, আগামীর যে রাজনৈতিক দল হতে যাচ্ছে, সেখানের এই তরুণ প্রজন্ম লড়াইয়ের জন্য, সংগ্রামের জন্য একটি পথই বেছে নিবে। সেটা হচ্ছে রাজপথ, কোন নেগোসিয়েশনের পথ এই তরুণ প্রজন্ম কোনদিন প্রশ্রয় দিবে না।
মো. মহিউদ্দিন