ছবি: সংগৃহীত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া ৬,৫৩১ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। প্রথমে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন, তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রেস ক্লাবে নিয়ে আসে। আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ পেয়েছিলেন ৬,৫৩১ জন শিক্ষক। তবে কোটা সংক্রান্ত সরকারি নিয়োগ বিধি অনুসরণ না করায় এই নিয়োগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রায়ের পর নিয়োগ বাতিল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিবঞ্চিত শিক্ষকরা।
বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন আহত হয়েছেন, এমনকি এক অন্তঃসত্ত্বা নারী শিক্ষককে লাথি মারা হয়েছে বলেও তারা দাবি করেন।
এক আন্দোলনকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমাদের ৬,৫৩১ জন শিক্ষকের চোখের পানি কি কেউ দেখে না? এক নিয়োগে দুই নীতি কেন? আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি, আমাদের নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে কেন আবার চাকরি কেড়ে নেওয়া হলো?"
বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হলেও আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাবমুখী রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এক শিক্ষক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, "আমরা অনেক আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। আমাদের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। না বাড়িতে থাকার জায়গা আছে, না ঢাকায় থাকার জায়গা আছে। আমাদের ভবিষ্যৎ কী? আমরা চাই, আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। মিথ্যা আশ্বাস আর চাই না।"
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/1Oh4b4XwkNU?si=HEFdezNRF37l2LP9
এম.কে.