![অনেকে অভ্যুত্থানকে শিকার করতে চাচ্ছেনা অনেকে অভ্যুত্থানকে শিকার করতে চাচ্ছেনা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-9-2502071311.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শাকিল আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে কেউ কেউ তো গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকারই করতে চাচ্ছে না। কোন কোন দল এই আন্দোলনের সমস্ত ক্রেডিট নিজেদের দিকে নিতে চান। বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারাও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলেন। আবার আমাদের দলের অনেকে মাহফুজ আলমকে মাস্টারমাইন্ড বলেন। কিন্তু আমি এক্সাক্টলি কাউকে আলাদাভাবে মাস্টার মাইন্ড বলতে চাই না, এই আন্দোলনের সবাই, আমজনতা সাধারণ মানুষ সবাই এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড।
আপনারা দেখেছেন যখন এই আন্দোলনের শুরুতে সিনিয়র নেতা নাহিদ, আসিফ কে অ্যারেস্ট করা হয়েছে । তখন কিন্তু কোন নির্দিষ্ট নেতৃত্ব থেকে এই আন্দোলন পরিচালনা হয়নি বরং যে যেখান থেকে যেভাবে পেরেছে আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে। এই আন্দোলনের যে শুধু ছাত্ররা মারা গিয়েছেন এমনটা নয়। এই আন্দোলনের রিকশাওয়ালা মারা গিয়েছেন, এই আন্দোলনের চায়ের দোকানদার মারা গেছেন, এই আন্দোলনে ছোট বাচ্চা শিশু মারা গিয়েছেন। সুতরাং এই আন্দোলন কোন ব্যক্তি বা দলের বিশেষভাবে নয়। এই আন্দোলন আমজনতা আন্দোলন সাধারণ মানুষের আন্দোলন।
জুলাই বিপ্লবের পর, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর 'জাতীয় নাগরিক কমিটি' গঠিত হয়। এর মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা এবং নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের জন্য সংবিধান সভা নির্বাচনের বিষয়ে জনমত গঠন করা। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেন সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি পরবর্তীতে একসঙ্গে কাজ করেছে এবং বিভিন্ন যৌথ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা গেছে। এই দুটি সংগঠন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক