![আমিরাতে সাজা পাওয়া সেই ৫৭ বাংলাদেশির নতুন আল্টিমেটাম আমিরাতে সাজা পাওয়া সেই ৫৭ বাংলাদেশির নতুন আল্টিমেটাম](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-2502071007.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভের কারণে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশি প্রবাসী দেশে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছেন। যাদের সাজা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছিল। তারা ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, এই সময়ের মধ্যে সাক্ষাতের ব্যবস্থা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন এবং জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ৫৭ প্রবাসীর সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত দাবি করে এই আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করে এবং রেমিট্যান্স বন্ধের কর্মসূচি পালন করেন। মিছিলকে কেন্দ্র করে সে দেশে (আমিরাতে) অনেককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাজা দেওয়া হয়। এ ঘটনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মিছিলের সাথে সম্পৃক্ত অথবা সম্পৃক্ত নয় কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনাকারী এ রকম অনেকের নামের তালিকা তৎকালীন অ্যাম্বাসেডরের মাধ্যমে সে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জমা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— প্রবাসী খালেদ সাইফুল্লাহ, হাফেজ মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম, মাইনুদ্দীন বাবু, মুহাম্মদ পারভেজ প্রমুখ। তাদের অভিযোগ, কিন্ত কঠিন সময়েও প্রবাসী শ্রমিকদের পাশে সরকার বা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এমনকি উপদেষ্টাও সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসীদের ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়, কিন্তু তাতে প্রবাসীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ২৯ ডিসেম্বর ৭ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানান। সে মোতাবেক তারা উপস্থিত হলেও উপদেষ্টা সাক্ষাত করেননি।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক