ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে আমাদের গড়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, “আমরা নিছক কিছু মূর্তি বা দালান নয়, বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। শত্রুদের শক্তির বিপরীতে আমাদের পাল্টা আদর্শ (Ideals), শক্তি ও প্রভাব (Hegemony) তৈরি করা জরুরি।”
মাহফুজ আলম আরও উল্লেখ করেন, “লীগ বা হাসিনা আসলে কিছুই নয়, বরং আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের একটি সম্প্রসারণ। তারা তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করছে বাস্তবধর্মী রাষ্ট্রকল্পনা, দক্ষ মানবসম্পদ ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। আমাদেরও পাল্টা আধিপত্য গড়ে তুলতে হবে এই তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে।”
তিনি জানান, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে, আহত ও নিহতদের পুনর্বাসন এবং ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচারের কাজও এগিয়ে চলছে।
ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ শুধু ধ্বংস নয়, বরং নতুন বিকল্প গড়ারও লড়াই। এই লড়াই মাত্র শুরু হলো, এর একটি মীমাংসা হতে অন্তত এক দশক সময় লাগবে।”
তিনি সবাইকে গড়ার কাজে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা—নেতিবাচক শক্তি। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর এগুলোকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এখনও সে সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের গণতান্ত্রিক ও আধিপত্যবাদবিরোধী দীর্ঘ লড়াইয়ে সৃজনশীল শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।”
তার মতে, “আমাদের এবার জিততেই হবে, আর জয়ের উপায় একটাই—রাষ্ট্রকল্প, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ ও মর্যাদাবান মানবসম্পদ গড়ে তোলা।”
তিনি সবাইকে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইতিহাস আমাদের সুযোগ দিয়েছে। এবার আমাদের জিততে হবে।”
মো. মহিউদ্দিন