ছবি: সংগৃহীত
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, এক স্মরণীয় দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে টেনেহিঁচড়ে মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি রাতের অন্ধকারে খালি করা হয়, আর সেই ঘটনাটি আজও দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব রেখে গেছে। বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তার পরদিন বেগম খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অঝোরে কেঁদে তিনি বলেছিলেন, কার কাছে আমি বিচার চাইবো? দীর্ঘদিনের সংসারের সকল মালামাল রেখে আমাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হলো। তারা আমার বেডরুমে দরজা ভেঙে আমাকে রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছে। পুরুষ মানুষ হয়ে বলছে, উনাকে কোলে করে তুলে নিয়ে আসেন। ধাক্কা দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলেছেন। আমি এর বিচারের ভার মহান আল্লাহ ও দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।
অন্যদিকে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্ভের সঙ্গে মিডিয়ায় বলেছিলেন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাব বের করে দেব। বের করেও দিয়েছি। শেষ!
যদিও সেদিন বেগম জিয়ার প্রতি কারো বিবেকবোধ কাজ করেনি, এবং কেউ সেই ইনজাস্টিসের প্রতিবাদও করেনি, তবে আজও সেই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় হয়ে রয়েছে। বেগম জিয়া নিজেই নিজের বিচার মহান আল্লাহ ও দেশের জনগণের কাছে ছেড়ে দেন।
এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক চিত্রে অনেকেই ভেবেছিলেন, এমন কর্মকাণ্ডে কারো বিবেক বা সহানুভূতি জাগবে না। তবে আজও সেই দিনের স্মৃতি জীবিত আছে, বিশেষ করে শহীদ জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙা এবং বেগম জিয়ার এই দুর্দশার ঘটনা স্মরণে রয়ে গেছে।
আজকের দিনেও এই স্মৃতির দিকে ফিরে তাকালে ৩২ নম্বরের ইট খুলে নেয়ার’ মতো কিছু ঘটনা ঘটলে, দেশবাসী সেই দিনগুলোর মতো দৃঢ় থাকতে প্রস্তুত হবে—এটা স্পষ্ট। এখন চয়েস শেখ হাসিনার উপর। তিনি চুপ থাকবেন, নাকি দিল্লিতে বসে উস্কানি দেবেন, তা সময়ই বলে দেবে।
তাবিব