ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

বিদ্যুতের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা 

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিদ্যুতের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা 

বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে অর্থ সংকট থাকার পরেও দাম আপাতত বাড়ছে না। সেই সাথে আগামী রমজানে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। আমাদের উপর অনেক প্রেসার থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়াইনি। ব্যয় সংকোচন করে আমরা সমন্বয় করছি। তবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তাতে বর্তমান গ্রাহকদের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ গ্যাস আমদানিতে খরচ পড়ে ৭০টাকা, আর আমরা বিক্রি করি ৩০ টাকায়। এই ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য নতুন করে যারা গ্যাস সংযোগ নিবেন তাদের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বাড়ানো হবে। 

তিনি বলেন, আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবেলায় গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানিতে যে অর্থসংস্থানের প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে। বর্তমানে বিদ্যুত খাতে ৯০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়, রমজানে তার চাহিদা দাঁড়াবে ১২০০ এমএমসিএফে। সেই লক্ষ্যে আমরা গ্যাসের সরবরাহ বাড়াবো। সরবরাহ যোগাতে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে।  রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুম আমরা লোডশেডি মুক্ত রাখতে চেষ্টা করব। লোডশেডিং মুক্ত মানে এই নয় যে, কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে না। নানা কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। আমরা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে একটি ভারসাম্য রাখবো। যাতে টেকনিক্যাল কোন কারণ ছাড়া লোডশেডিং না হয়। 

তিনি বলেন,গ্রীস্মে দুটো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে থাকে।একটা সেচ এবং আরেকটি এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার। সেচে আমরা বিদ্যুতের সরবরাহ কমাতে চাই না, কারণ সেচ বাধাগ্রস্ত হলে খাদ্য উৎপাদন বাঁধাগ্রস্থ হবে। আমরা সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখবো। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের যে ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার কথা বলেছি তার মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট শুধুমাত্র কুলিংয়ের জন্য লাগছে, যাকে বলা হয় কুলিং লোড। এয়ার কুলিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার না করে যদি ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। 

উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আমরা অবৈধ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। 
এর আগে বিকাল তিনটায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শুরু হয়। এতে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর সমুহের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

আশিক

×