সংগৃহীত
রমজানে বেআইনীভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীদের শুধু জনগণের কাছেই নয়, আল্লাহর কাছেও জবাবদিহি করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, "অনেক সময় চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি যেন এ ধরনের অনিয়ম রোধ করা যায়।"
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "রমজানের সময় কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ায়, সে শুধু জনগণের নয়, আল্লাহর কাছেও দায়বদ্ধ থাকবে। ব্যবসায়ীদের উচিত এ সময় জনগণের পাশে দাঁড়ানো, প্রফিট মার্জিন কমিয়ে সহনীয় মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা।"
সাংবাদিকদের তিনি বলেন,এক্ষেত্রে আপনারাও লোকজনকে সচেতন করবেন এবং আমাদের ক্ষেত্রে আমাদের যতটা অ্যাকশন নেয়ার ততটা নেব।
অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন,খ্রিস্টান দাদারা আছে,তারা তাদের উৎসবের মাসে তারা জিনিসপত্রের দাম কমায় যেমন ক্রিসমাসের সময়ে।আর আমাদের বিজনেসম্যানরা,এরা ভাবে এটাই বুঝি তাদের আয়ের মাস।রোজার মাসে কিন্তু অনেকে বেশি আয় করতে চায় ।
সাংবাদিকদের বলেন,ব্যাবসায়ীদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দিতে যে,এই সময় প্রফিট মার্জিন টা বরঞ্চ কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে,এতে বড় ধরনের সওয়াব হবে। ইতোমধ্যে বেশি পরিমাণে ছোলা ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট হবে না এবং দাম নাগালের মধ্যেই থাকবে।"
শীতকালীন সবজি রোজায় সরবরাহ নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজের ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণের জন্য আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে, যাতে দীর্ঘদিন এসব সবজি সংরক্ষণ করে রমজানে সরবরাহ করা যায়।
সূত্র:https://tinyurl.com/yvfr2uk7
আফরোজা