ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে সংরক্ষিত এসব লকারে রাখা অর্থসম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ছাড়া অন্য কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার ফ্রিজ করতে পারে না।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, যেন নতুন করে কোনো লকার বরাদ্দ না দেওয়া হয় এবং আগের লকারগুলো আপাতত খোলা না হয়। সংস্থাটির সন্দেহ, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে তাদের মূল্যবান সম্পদ সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে ব্যাংকের লকারে সংরক্ষণ করেন। বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ, ডাকাতির ভয় বা অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা এসব লকার ব্যবহার করে থাকেন। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব লকারের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, দুদকের অনুসন্ধান দল সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকে তার লকার খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট চার কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এমন পদক্ষেপের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অর্থসম্পদ ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।
মো. মহিউদ্দিন