ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

মোদীর মিটিং এ লাইভে আসলেন শেখ হাসিনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় বট আইডির বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৬:৪৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মোদীর মিটিং এ লাইভে আসলেন শেখ হাসিনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় বট আইডির বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।কার্যত তারপর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন হাসিনা।

সবশেষ কয়েকটি তথ্য বলছে দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলোতে অবস্থান নিয়েছেন হাসিনা।গেল ডিসেম্বরেই  শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সেসময়  জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।যেখানে পরবর্তীতে  অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন জবাব পায় নি বাংলাদেশ।

এর মাঝে (৩ জানুয়ারি) এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া নিয়ে ভারতের নতুন করে কিছু বলার নেই বলে জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদৌ শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লি আসলে কি করতে চাইছে তা এখনো স্পষ্ট করেনি ভারত।

সম্প্রতি ৩ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে "বেঙ্গলি কালচার প্রো" নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হয়,মোদীর মিটিংয়ে লাইভে আসলেন শেখ হাসিনা।

যেখানে দেখা যায় লাইভ স্ক্রীনে শেখ হাসিনার ছবি আর মোদীসহ পাঁচজন বসে রয়েছেন।যেখানে মাইকে ইংরেজিতে বলা হচ্ছে,আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দিয়েছেন, সাথে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।অনুষ্ঠানে আরো বলা হয় যোগ দিয়েছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী,ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী,ভারতের পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস মন্ত্রী।প্রথমেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী  সুষমা স্বরাজকে বক্তব্যের অনুরোধ জানানো হয়।

ভিডিও লিংক: https://youtu.be/GpuVAmJBP7Y?si=hrECkNWv2KFfQdV-

কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হলেন এস জয় শংকর।তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হলেন ড. ইউনূস।এতেই এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় এটি  আগের ভিডিও  এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জনগণের কাছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে বট আইডির উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্ররোচনা।নেটিজেনদের দাবি অবিলম্বে এসব বট আইডি এবং চ্যানেলগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য ফ্যাক্ট চেক রিউমর স্ক্যানার এখনো এ বিষয়ে কিছু জানায় নি।

ফুয়াদ

×