ছবিঃ সংগৃহীত
দেশে বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। শীত কমে গেলে মার্চ মাস থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাবে, যা লোড শেডিংয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। এই পরিস্থিতির প্রভাব সেচ ব্যবস্থাপনাতেও পড়তে পারে।
বর্তমানে দেশীয় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বকেয়া প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মতো রয়েছে। যদি এই বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তবে কেন্দ্রগুলো চালানো সম্ভব হবে না, বলে জানিয়েছেন বেসরকারি মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিআইপিপিএ’র সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ও প্রায় ৬ মাসের বকেয়া ছিল, তবে সে সময় তারা সক্রিয় হননি, কারণ তখন ডলার ও টাকার লস হয়নি।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় ফার্নেস তেলে প্রতি ইউনিট ২০ টাকার বেশি এবং গ্যাস ও কয়লায় খরচ ৮ টাকার নিচে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মূলত ফার্নেস তেল নির্ভর। তাই গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এতে সরকারের ব্যয় কমবে অন্তত এক তৃতীয়াংশ। জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন তেল ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে এবং গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বকেয়া পরিশোধের কার্যক্রম চলছে এবং সামনে কয়লা ও গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে।
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটা বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। অভিযোগ উঠেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার পছন্দসই ব্যক্তিদের জন্য উৎপাদন কেন্দ্রের অনুমতি প্রদান করছে। গত বছর বিআইডিএসের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রের কারণে বছরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়।
ক্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের ধারাবাহিকতায় বেসরকারি কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতও তাদের পাওনা আদায়ের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
দেশে বিদ্যুতের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট, অথচ বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে হিমশিম অবস্থা।
রেজা