ছবিঃ সংগ্রহীত
গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সম্প্রতি ভারতের সাথে সে সম্পর্ক তলানিতে।বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যা অনেক দিন ধরেই শক্তিশালী ছিল, তা এখন বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে।
বিশেষত, স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশ এখন চীনের দিকে নতুনভাবে নজর দিচ্ছে, যা কলকাতার দিকে যাবার চিরাচরিত পথ থেকে এক উল্লেখযোগ্য সরে আসা। এটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের নতুন এক দিক উন্মোচন করছে, যেখানে চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উঠে আসছে।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। পশ্চিমা দেশ এবং ভারত কর্তৃক বাধার মুখেও, বাংলাদেশ এই দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চাইছে। সরাসরি বাণিজ্য রুট, বিমান সংযোগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে, ফলে পশ্চিমা দেশ ও ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
প্রশ্ন উঠছে, কেন বাংলাদেশ মোদী এবং ট্রাম্পকে তোয়াক্কা করছে না ? বাংলাদেশের এই বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন তার স্বাধীনতার লক্ষ্যে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ হতে পারে, যেখানে বাংলাদেশ এখন একটি স্বতন্ত্র ও বহু-দিকভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ার দিকে নজর দিচ্ছে।
এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির এক নতুন দিক উন্মোচন করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন শক্তির সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।
মারিয়া