ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতকে আরো জনশক্তি নেয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতকে আরো জনশক্তি নেয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ছবিঃ সংগ্রহীত

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতকে আরো বেশি জনশক্তি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

আজ বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত H.E. Ali Th A Q Hamadah সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ এবং কুয়েতের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। বর্তমানে কুয়েতে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নেয়ার জন্য কুয়েত সরকারকে আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, কুয়েত বাংলাদেশ থেকে আরো নারী গৃহকর্মী নিতে আগ্রহী, তবে আমি তাদের নারী কর্মীদের পাশাপাশি পুরুষ কর্মীও নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েত মুসলিম ও এশীয় মিত্র হিসেবে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশও ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্বাসন ও মাইন অপসারণে কুয়েতকে সহযোগিতা করেছে, যাতে ২৭০ জন বাংলাদেশি সৈন্য নিহত এবং ৫৬ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং কুয়েতের মধ্যে জনশক্তি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো চুক্তি নেই, তবে এ ধরনের একটি চুক্তি দ্রুত করার প্রয়োজন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি, মিলিটারি ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা, রোহিঙ্গাদের সহায়তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কুয়েত বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। রোহিঙ্গা ইস্যু সহ বিভিন্ন সেক্টরে কুয়েত সহযোগিতা করে আসছে। তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউএস-এইড এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়, তাহলে কুয়েতকে রোহিঙ্গাদের উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে আরও বেশি সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৭ সালে কুয়েত রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এটি আরও ভালো হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ সময় কুয়েত দূতাবাসসহ বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করায় উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১ অধিশাখা) মুঃ জসীম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
 

মারিয়া

×