ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

‘ফুলকপি’ প্রতীকে নতুন দল

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘ফুলকপি’ প্রতীকে নতুন দল

ছবিঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) আদালতের আদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাধ্যমে। এর ফলে, বিডিপি এখন বাংলাদেশে একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। নির্বাচন কমিশন দলটির জন্য ‘ফুলকপি’ নামক প্রতীক বরাদ্দ করেছে, যা বিডিপি তার নির্বাচনী প্রচারণা ও অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করবে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এটি বিডিপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ তারা এখন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার পেয়েছে। আদালতের আদেশের মাধ্যমে দলটি ইসির নিবন্ধন পেলে তারা আগামী নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের (রিট ৬৪৩১/২০২৩) এর গত ১২ ডিসেম্বরের প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন করেছে। দলটির প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে ‘ফুলকপি’। নিবন্ধন নম্বর ৫৪।’

নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (বিডিপি) নিবন্ধন না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেছিলেন দলটির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। কিন্তু ১০ এপ্রিল ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশন তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে।

১২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার পর দলটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ২৫ মে আমরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করি। আমাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে কেন নিবন্ধন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২৩ সালের ২৩ জুন রুল জারি করে হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বিডিপিকে নিবন্ধন দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন।

নবম সংসদ নির্বাচন (২০০৮) এর আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু করা হয়। এর পর থেকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন পর্যন্ত ৫৩টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান করেছে। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থতা বা শর্ত প্রতিপালনে অবহেলার কারণে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে—এগুলো হল জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি এবং জাগপা। এই বাতিলের পিছনে আদালতের নির্দেশও ছিল।

এছাড়া, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলস্বরূপ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন কিছু রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেগুলোর নিবন্ধনও দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন।

এমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে, আদালতের আদেশের পর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নিবন্ধন পেয়েছে। এর ফলে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংখ্যা বর্তমানে ৪৯-এ দাঁড়িয়েছে।

Faruk

×