আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে।
তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।
রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ফুয়াদ