ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

পার্বত্য অঞ্চলের পেছনে একটা শক্তি আছে এটা আমরাও জানি

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পার্বত্য অঞ্চলের পেছনে একটা শক্তি আছে এটা আমরাও জানি

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এ যাবৎকালে যত কিছু হয়েছে তার পেছনে একটা শক্তি আছে এটা আমরাও জানি, বিশ্ববাসীও যানে। তবে তারা যদি মনে করে বাংলাদেশের ছোট রাষ্ট্র তারা প্রতিবাদ করতে পারবে না। তারা ভুল চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বীরের জাতি, এই দেশ রক্ষা করার ক্ষমতা আল্লাহতালা এই দেশের মানুষকে দিয়েছেন। '

বাংলাদেশ প্রফেশনালস আয়োজিত "বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা: উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা" শীর্ষক আলোচনা সভা রোববার, ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি এবং উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তখন এসব কথা বলেনা বিএনপির এই নেতা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'পার্বত্যাঞ্চল, সমতল অঞ্চল সবাই কিন্তু বাংলাদেশি। পাসপোর্টে বাংলাদেশি উল্লেখ আছে, বাঙালি না। আমরা বাংলাদেশি এটা যদি বুকে ধারণ করতে পারি ৯০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পার্বত্য অঞ্চলের যে উপজাতিগুলো আছে তাদের আলাদা আলাদা পরিচয় থাকলে তখনই সমস্যাটা বেশি হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশি, তবে যার যার নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, ধর্ম আছে। সে সংস্কৃতি-ধর্ম তারা ধারণ করে রাখবে, পালন করবে। আমাদের এই জাতি গোষ্ঠীগুলোর একে অপরের প্রতি যদি সম্মানবোধ না থাকে তাহলে সংঘাত অনিবার্য।'

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণই থাকবে—এই ধারণা বিভিন্ন ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে। ওই অঞ্চলের যে উপজাতিগুলো রয়েছে, তারা তো ঢাকাতেও আছে এবং সারা দেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেখানে তো কোনো সংকট সৃষ্টি হয়নি। তাহলে যদি সমতল ভূমির মানুষ পাহাড়ে চলে যায়, তবে সেখানে সমস্যা তৈরি হবে—এটি ঠিক হবে না। ঠিক যেমন ভাই-বোনেরা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করে, তেমনি বাইরের লোক এসে মীমাংসা করে পরিস্থিতি সমাধান করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে শুধুমাত্র উপজাতিরাই থাকবে এবং অন্য কেউ সেখানে যেতে পারবে না—এমন চিন্তা ভুল। আমাদের একে অপরকে গ্রহণ করতে হবে। যদি এটা সম্ভব না হয়, তবে সংকট আরও বাড়তে থাকবে। এটি বিএনপির প্রত্যাশা নয়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিবি স্থায়ী কমিটির সদস্য নিয়ামুল বশির, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

Faruk

×