ছবিঃ সংগৃহীত
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে বাংলাদেশের বিজিবি শক্তভাবে অবস্থান নিবে এবং তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে। এর পাশাপাশি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত কখনো কখনো বড়ভাই সুলভ শাসননীতি অনুসরণ করলেও, এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিজিবি ও বিএসএফের সম্পর্ক বহুদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ, বিশেষ করে সীমান্তে একের পর এক উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বিএসএফ। সীমান্ত হত্যা, ভূমিদখল এবং শূণ্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের মতো তাণ্ডবের ঘটনায় বিজিবি বহুবার ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। তবে, বিজিবি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছে, সীমান্তের জমি রক্ষায় কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
২০২8 সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এদিকে, ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক, যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এ বৈঠক নিয়ে দেশের জনগণও উদ্বিগ্ন, কারণ যদি উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, তা দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিজিবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তের নিরাপত্তা এবং মাটির রক্ষা করা তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মারিয়া