ছবিঃ সংগৃহীত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশি ভাড়াটিয়া সৈন্যদের নাম উঠে এসেছে। উচ্চ বেতনের লোভে কিছু বাংলাদেশি যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এক যুবক, যিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে এসেছেন, তার অভিজ্ঞতা শুনিয়ে পরিবারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধের নামে তাদের শোষণ করা হচ্ছে।
আকরাম হোসেন নামে এক যুবক তার সহোদরকে নিয়ে রাশিয়া পাড়ি দেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পরই তাদের সঙ্গে কিছু অজানা ব্যক্তি যোগাযোগ করে এবং পাসপোর্ট নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়। আকরাম বলেন, “আমাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে বলা হয় যে, আমাদেরকে সেখানে কিছু সময় রাখবে, তারপর গন্তব্যে পাঠানো হবে। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর আমরা জানতে পারি, আসলে আমাদের অস্ত্র চালনা শেখানো হচ্ছে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, তার সহযাত্রী সোহান নামের এক যুবক কিছু সময় পরে ফোন করে তাকে জানায়, মিথ্যা কথা বলা হয়েছে এবং তারা অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। আকরাম যখন এ বিষয়ে দালালদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফিরে আসার কথা বলেন, তখন তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এভাবে আকরাম ১০ দিন পরে কোন উপায় না পেয়ে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসেন। এখন তার পরিবার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য অসহায়ভাবে চেষ্টা করছে। তার পরিবার জানান, তারা অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এবং কোনোভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধ অঞ্চলে বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে অনেক মানুষকে যুদ্ধের জন্য ভাড়াটিয়া সৈন্য হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। আগেই এমন ঘটনা নেপাল ও ভারতীয়দের সঙ্গে ঘটেছে, আর এবার বাংলাদেশিরাও এর শিকার হচ্ছেন। এই ঘটনা নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যেখানে দালালরা এই যুবকদের বিপথে পরিচালনা করে, তাদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং যুদ্ধে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা রোধ করা যায়।
মারিয়া