ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহীর নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. মাঈন উদ্দীন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির জীমকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ৩১ জানুয়ারি নগরীর মতিহার থানায় জিডি করেছেন রুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দীন।
হুমকির শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন, রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দীন এবং মেকানিক্যাল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন কবির জীম।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি 'Current Students of RUET' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী মহানগরের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. মাঈন উদ্দীন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির জীমের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর পোস্ট দেয় Aawal Anfi নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। পরে জামিউল ইসলাম অভিকে মেনশন করে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার এবং ক্যাম্পাস ছাড়া করার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এই ঘটনার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
এতে আরও বলা হয়, তারা রুয়েট প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে রুয়েট প্রশাসন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও অপপ্রচারকারী বা ভয়ভীতি ও ধমকি প্রদানকারীর পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় আপাতত বিষয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী মহানগরের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আমাদের এই হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকি দাতা সম্ভবত রুয়েটেরই কোনো শিক্ষার্থী। এটি ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কেউ করতে পারে, যারা আমাদের কাজ পছন্দ করছে না।
জিডির বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেককে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। উল্লিখিত জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই এটিএম আশেকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জিডি অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। আমি হার্ড কপি এখনো হাতে পাইনি। এটা হাতে পেলে আমি কার্যক্রম শুরু করব।
মারিয়া
