ছবিঃ সংগৃহীত।
তৌহিদুল ইসলাম ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে তৌহিদুলকে আটক করে কুমিল্লা সদর উপজেলার গোমতী নদীর পাড় সংলগ্ন একটি স্থানে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এবার তৌহিদুল ইসলামের বড়ভাই এই মৃত্যুর লোমহর্শক বর্ননা দিলেন। তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী বাড়িতে এসে বললো, আপনার বাড়িতে অস্ত্র আছে , আমরা তল্লাশি করবো। আমি বললাম ঠিক আছে আপনারা তল্লাশি করে দেখেন। সেনাবাহিনীর লোকজন ঘরের সবকিছু ওলটপালট করে কিছু না পেয়ে ঘরের ৭ টি মোবাইল নিয়ে যায়। আমি বললাম আমার মোবাইলগুলো ফেরত দেন, তারা বললো আপনারা নির্দোষ হলে সকালে আপনার সব মোবাইল পেয়ে যাবেন কিন্তু পরের দিন সকালে তারা আবার আসে মোবাইল না দিয়েই।
তিনি আরো বলেন, পরের দিন সকালে ওরা আবার এসে আমার ২ চাচাতো ভাই এবং ওকে ধরে নিয়ে যায় পরে দুই চাচাতো ভাইকে ছেড়ে দিলেও ওকে আর ছাড়ে না একটু পরে আমাকে ফোন দিয়ে বলল যে ভাই আমাদের কাছে নাকি নাইন এমএম পিস্তলটা আছে সেটা ওরা চাচ্ছে। আমি বললাম ভাই আমার কাছে তো কোন পিস্তল নাই আমি কিভাবে দিব। আমাদের কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই আমার ভাইকে সেনাবাহিনী মেরেছে, পরের দিন সকালে তারা বারবার আবার ফোন দেয়, আমি বারবার থানায় গিয়েছি এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়েছি কিন্তু কোন সমাধান করতে পারি নাই।
তৌহিদুলের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি 'উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি' গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তৌহিদুলের পরিবার এবং স্থানীয় যুবদল কর্মীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
Faruk