ছবি : সংগৃহীত
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, বাংলা একাডেমী শিল্প সাহিত্যের একটা গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে সর্বাগ্রে গবেষণার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, এটা সত্য কথা। এবং আমরা জানি ইতিমধ্যেই বাংলা একাডেমী এই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্প্রতি বাংলা একাডেমী ৫০ টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং ১ বছর মেয়াদী দশটি গবেষণাবৃত্তির প্রস্তাব আহ্বান করেছে। এছাড়া তরুণ লেখকদের জন্য কর্মশালা এবং বই প্রকাশের ব্যবস্থাও নিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমি বলব যে, আমাদের একটু আত্মসমালোচনা করার প্রয়োজন আছে বা আত্ম উপলব্ধি করার যে আমাদের সামনে নতুন রাস্তা কি হওয়া উচিত।
বাংলা একাডেমী যেকোনো কারণেই হোক, এটা একটা কাজ, আমাদের অতীত নিয়ে যেমন গবেষণা করা, আবার আমাদের সামনে দিয়ে যে বর্তমানটা অতীত হয়ে যাচ্ছে, এই বর্তমানটাকেও স্পর্শ করতে পারাটাই একাডেমির গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরো বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে যেটা ফিল করতে পেরেছি যে, আমার আমাদের নতুন চিন্তা যারা উসকে দেয় বা নতুন ভাষ্য বা নতুন ভাষা, যেকোনো শিল্পের যেকোনো ফর্ম বা আমাদের সংস্কৃতির যেকোনো শাখার ক্ষেত্রে, এটা যারা উসকে দেয়, তাদের সঙ্গে বাংলা একাডেমির যোগাযোগটা একটু সীমিত, অনেক কম বললেই চলে।
আমরা তাই মনে করেছি যে, বাংলা একাডেমির একটা সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা সে উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারবেন লেখক, গবেষক এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে আমরা একটা সংস্কার কমিটি গঠন করব। যে কমিটির কাজ হবে, বাংলা একাডেমী, এটাকে একটা চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং এটার সঙ্গে নতুন-পুরনো চিন্তার গবেষণা যেমন হবে, তেমনি নতুন চিন্তার যেন একটা সংযোগ তৈরি হয়।
এই ব্রিজটা যদি আমরা করে যেতে পারি, তাহলে আমরা মনে করি যে, এই একাডেমিটা একটা চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং এটাকে আমরা আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ হিসেবে গ্রহণ করেছি।
মো. মহিউদ্দিন