ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

নতুন করে অপারেশন প্ল্যান নেওয়া হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বাস্থ্য খাতে বিগত সরকারের ২৮ প্রকল্পের একটিও বাস্তবায়ন হয়নি

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

স্বাস্থ্য খাতে বিগত সরকারের ২৮ প্রকল্পের একটিও বাস্তবায়ন হয়নি

.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুযায়ী বিগত সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে নেওয়া হয়েছিল মোট ২৮টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে মাত্র ৫.০৬। বলা যায়, সব মিলিয়ে মাসে ১ শতাংশেরও কম কাজ হয়েছে। আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে বিগত সরকারের লুটপাটের প্রকল্প অন্তর্বর্তী সরকার চালিয়ে নিতে চায়নি। তবে উন্নয়নে নতুন করে ‘অপারেশন প্ল্যান’ (ওপি) গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিগত সরকারের নেওয়া যেসব প্রকল্প জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে সেগুলো বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি নতুন করে উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লুটপাটই হোক আর অন্য কোনো কারণেই হোক স্বাস্থ্য খাতে সুনজর অব্যাহত ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের। এর আগের অর্থবছরেও বরাদ্দের অর্ধেক খরচ না হলেও বা লুটপাট হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছিল তৎকালীন সরকার। এই খাতে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ধরা হয় ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। শুধু তাই নয়, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এর কিট আমদানিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি (করমুক্ত আমদানি) সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা নতুন অর্থবছরেও অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এর বাইরেও জরুরি সময় মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে বিশেষভাবে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে এসব কার্যত কাগজে কলমেই রয়ে যায়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে অগ্রগতি প্রতিবেনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এডিপিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি আলাদা বিভাগের অধীনে মোট ২৮টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১৫টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ১৫৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থবছরের ছয় মাসে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে ৪.৯২ শতাংশ; যা আর্থিক হিসাবে ৫৪৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অপরদিকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ১৩টি প্রকল্পের বিপরীতে চলতি অর্থবছর বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থবছরের ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ০.১৪ শতাংশ।
তবে নতুন করে পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বলেন,একটা গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে আসা অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কাজ পরিচালনা করছে। আপাতত সব ধরনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে আমরা যথেষ্ট সময় পেয়েছি গুছিয়ে নেওয়ার। এখন নতুন করে প্রকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। জনকল্যাণে যেসব প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখানে স্পষ্টভাবে বলতে হবে এখানে কেউ কোনো লুটপাটের সুযোগ পাবে না। যেসব কাজ হবে সব উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমেই কাজ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য খাতের বেশিরভাগ কাজ বাস্তবায়িত হয় মূলত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির মাধ্যমে। এই কর্মসূচি পাঁচ বছর মেয়াদি। চতুর্থ কর্মসূচি শেষ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। পঞ্চম কর্মসূচি এ বছরের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো তা পাস হয়নি।  
স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচি চলে অপারেশন প্ল্যান (ওপি) বা বিষয়ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। পুষ্টি, সংক্রামক রোগ, অসংক্রামক রোগ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য, বিকল্প চিকিৎসা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এ ধরনের বিষয়ের জন্য পৃথক পৃথক ওপি করা হয়। এই অপারেশনাল প্ল্যানে পাঁচ বছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকে।  
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অপারেশনাল প্ল্যান পাঁচ বছর মেয়াদি হয়। পাঁচ বছর পর পর একবার অপারেশন প্ল্যান করা হয়। তার পর সেই অপারেশন প্ল্যান অনুযায়ী কার্যক্রম চলে। অপারেশন প্ল্যান পাস না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম চরম ব্যাঘাত ঘটছে। নতুন অপারেশনাল প্ল্যান জাতীয় নির্বাহী কমিটি একনেকে পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো তা অনুমোদন হয়নি।  
গত সাত মাস আমাদের কোনো অপারেশন প্ল্যান নেই বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, অপারেশন প্ল্যানের মাধ্যমে আমাদের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অপারেশন প্ল্যানের বাইরে আমরা কিছুই করতে পারি না। একটা অপারেশন প্ল্যান শেষ হয়েছে জুন মাসে। তার পর থেকে আমরা একদম খালি জায়গায় আছি। তবে নতুন করে অপারেশন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, অপারেশন প্ল্যান না থাকায় কেনাকাটা বন্ধ, অনেকের বেতনও বন্ধ, সবই বন্ধ রয়েছে। অপারেশন প্ল্যান না থাকায় স্বাস্থ্য খাতে মোট ৩৮টি সেক্টরের সব কিছুই বন্ধ আছে। অপারেশন প্ল্যান যত তাড়াতাড়ি পাস হবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে পারব। তিনি আরও বলেন, অপারেশন প্ল্যানের অভাবে আমরা যে বিভিন্ন ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, জিনিসপত্র ক্রয়, সাপ্লাই, স্টাফের বেতন (আউট সোর্সিং), মনিটরিং, সুপারভিশন, ওষুধপত্র কেনা, এসবের কোনো কিছুই হচ্ছে না। এমনকি কি এখন ন্যূনতম ওষুধের সরবরাহও নেই।
ব্যর্থ শাহবাগে হাসপাতাল হাব প্রকল্প ॥ প্রায় দুই বছর আগে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে হাসপাতাল হাব গড়ার লক্ষ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা সুপার স্পেশালাইজড হাসপতালটির উদ্বোধন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত অসাধারণ স্থাপস্থ্যশৈলীর আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন হাসপাতালটি এতদিনেও পায়নি পূর্ণ রূপ। এখনো হাসপাতালে নিয়োগ হয়নি নিজস্ব একজন চিকিৎসকও। বিগত সরকারের সময় মাঝে মাঝে দুই/একটি অস্ত্রোপচার হলেও সম্প্রতি সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে জটিলতা তৈরি হয়েছে খোদ বিএসএমএমইউর প্রশাসনে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদের পদত্যাগের পর নতুন করে নিয়োগ হলেও কার্যত এখনো প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে রয়েছে হাসপাতালটির। যার চরম প্রভাব পড়েছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতেও। চিকিৎসকসহ অন্যান্য কোনো সেবা না থাকায় রোগীদের আনাগোনা নাই বললেই চলে। ফলে দিনের বেলাতেই বিশাল হাসপাতালটিতে প্রবেশ করলে মনে হয় ভূতুড়ে কোনো স্থাপনায় প্রবেশ করা হয়েছে। তাই সাধারণ রোগীদের দাবি পরিবর্তিত সরকার অন্তত এই স্থাপনাটির দিকে নজর দেবে। যদি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সরকার যেন এটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেয় এই দাবিও তাদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিনে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল হওয়ার কথা ছিল এই হাসপাতালটি। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক না থাকা, ল্যাব-যন্ত্রপাতি থাকলেও প্রয়োজনীয় টেকনেশিয়ান, কর্মী না থাকায়, উচ্চ চিকিৎসা ফি’সহ নানা কারণে রোগীদের এটিতে যেতে অনীহা। হাসপাতালটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় সামান্য কিছু রোগী এবং চিকিৎসকের আনাগোনা থাকলেও অন্যান্য ফ্লোরগুলো প্রায় খালি থাকে। এসব ফ্লোরে উঠলে দিনের বেলায়ই গা ছমছম করে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এমনকি পাশাপাশি অন্য দুই হাসপাতাল বিএসএমএমইউ এবং বারডেম হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে স্থান সংকুলান করা মুশকিল হয়ে পড়ে। সেখানে এমন একটি স্থাপনা দিনের পর দিন অকেজো অবস্থায় থাকায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির অবকাঠামো উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরেরই ২৭ ডিসেম্বর থেকে এর ১৪টি বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক)। তবে এদের কেউই এই হাসপাতালে সরাসরি নিয়োগকৃত নন। বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরাই সিডিউলভিত্তিক সেবাদান শুরু করেন, যা এখন পর্যন্ত চলার কথা থাকলে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে ওইসব চিকিৎসকের অনেকেই কর্মস্থলে আসছেন না। ফলে যে সামান্য সেবাটুকু পাওয়া যেত তাও পাওয়া যাচ্ছে না। কাক্সিক্ষত সেবা না পাওয়ার কারণেই রোগীর সমাগম নেই বলে মত হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের। ফলে যে লক্ষ্য নিয়ে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিলো তা পুরোপুরি ব্যর্থ বলে দাবি তাদের।
থেমে আছে তিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ॥ বিগত সরকারের আমলে নেয়া অন্যতম বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজ। কিন্তু সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে সে সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে চিকিৎসা খাতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ছিল তা হোঁচট খাচ্ছে বলে মত স্বাস্থ্যসেবা খাতসংশ্লিষ্টদের। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার তাগিদ দেন তারা।

বাজেট বাস্তবায়ন না হওয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ॥ স্বাস্থ্য খাত দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর বাজেট বাস্তবায়নের হার সব সময়ই খারাপ থাকে উল্লেখ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, চলতি বছরে স্বাস্থ্য খাতে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে জুলাই-আগস্টের অস্থিরতা, প্রকল্পে ব্যয় সংকোচন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়া এবং অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কম খরচ হওয়া। এটার একটা প্রবণতা থাকে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সামগ্রিক চিন্তাভাবনা করা দরকার। যেহেতু সরকার বর্তমানে অর্থ সংকটে ভুগছে, সেহেতু বিকল্প ভাবতে হবে। প্রকল্পে কাটছাঁটের পাশাপাশি খরচেও সাশ্রয়ী হতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি আনতে হলে রাজস্ব আদায়ে জোর দিতে হবে।

×