বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিন শুক্রবার টঙ্গীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়
তুরাগ তীরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তবলিগ জামাতের এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। মতপার্থক্যের কারণে এবারেও ইজতেমা দুই ভাগে (পর্ব) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্বের নেতৃত্বে থাকছেন শূরায়ী নেজামের (জোবায়ের পন্থি আলেম ওলেমা কওমিপন্থি) তাবলিগ অনুসারী মুসল্লিগণ। ছয় দিনব্যাপী এ পর্বের ইজতেমা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদপন্থিদের তিনদিনের ইজতেমা হওয়ার কথা রয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। শনিবার বাদ আছর ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার প্রথমদিনে বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি তবলিগের ৬ উসূল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহীহ নিয়ত ও তাবলিগ ইত্যাদি বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের ৩ দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। কুরআন হাদিসের আলোকে মুসল্লিদের উদ্দেশে চলবে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান।
ইজতেমার শুরুর দিন শুক্রবার হওয়ায় এদিন জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমা স্থলে মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ছুটে আসেন টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের সড়ক ও গলিগুলোর ওপরে যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদে থেকেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন। ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে স্মরণকালে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে শুরু হয় জুমার নামাজের খুতবা। পরে ১টা ৫১ মিনিটে জামাত শুরু হয়। জুমার নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের।
নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শুক্রবারেও ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। এদিকে শনিবার বাদ আসর ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের প্রায় ৭ হাজার মুসল্লি উপস্থিত হবেন বলে আশা করছেন ইজতেমার মুরব্বিগণ।
ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদীর পূর্ব পাশে নির্মিত মিম্বারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ইমাম এবং উত্তর-পশ্চিমে বিদেশী মুসল্লিদের কামড়ার পাশে বয়ান মঞ্চে বয়ানকারী অবস্থান করবেন। আখেরি মোনাজাত বয়ান মঞ্চ থেকে পরিচালনা করা হবে। ইজতেমা মাঠের প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁশের খুঁটির ওপর চটের ছাউনির প্যান্ডেলে মুসল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ মাইক। লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি।
এবার ইজতেমা শুরুর দু’দিন আগ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হওয়ায় কানায় কানায় ভরে গেছে প্রায় ইজতেমা ময়দানের বিশাল এলাকা।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, শূরায়ী নেজামের (জোবায়ের পন্থি) তাবলিগ অনুসারীদের ইজতেমা দু’টি ভাগে (ধাপে) টানা ৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ ৪১ জেলার মুসল্লি নিয়ে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আর ২৩ জেলা নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা হবে ৩-৫ ফেব্রুয়ারি। দু’টি ধাপের শেষদিন যথাক্রমে রবিবার ও বুধবার আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইজতেমায় জোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, সাথীরা সকাল থেকেই ¯্র্েরাতের মতো আসতে শুরু করেছেন। আশা করছি এবার রেকর্ডসংখ্যক লোক হবে। এখানে বিদ্যুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। মুসল্লিরা তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান। বিদেশীরা ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থান নিচ্ছেন।
বয়ানকারীগণ ও আনুষ্ঠানিকতা ॥ বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা জানান, শুক্রবার বাদ ফজর উর্দূতে চূড়ান্ত আমবয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক মূল বয়ান শুরু করেন। তার বয়ান বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে শোনান বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। সকাল পৌনে ১০টায় খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিদের উদ্দেশে তালিমের আগে মোজাকেরা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল। সকাল ১০টায় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বয়ানের মিম্বারে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ফারাহিম। ছাত্রদের সঙ্গে নামাজের মিম্বারে বয়ান করেন আলিগড়ের প্রফেসর আব্দুল মান্নান। এছাড়াও খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ। তা চলে দুপুর পর্যন্ত। দুপুরে জু’মা নামাজের পর বয়ান করেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব। এরপর বাদ আছর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের এবং বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা আহমদ লাট সাহেব বয়ান করেন। ইজতেমা স্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দূতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তা তরজমা করা হচ্ছে। পরে তাবলিগ মারকাজের শূরা সদস্য ও বুর্জুগরা ঈমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত সম্পর্কে ফজিলতপূর্ণ সারগর্ভ বয়ান করেন।
আয়োজকরা বলেছেন, এ বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কুরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানোসহ নতুন জামাত তৈরি হবে।
বয়ান ॥ শুক্রবার বয়ানে বলা হয়, ‘পৃথিবীতে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। ঈমানকে মজবুত করতে হলে আমাদের দাওয়াতি কাজে সময় লাগাতে হবে। আমরা যেন আল্লাহপাকের হুকুমমতো সারাজীবন চলতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মাঝে দীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে। দ্বীনের জন্য মেহনত করতে হবে। নিজের আমল দিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল যে কাজে খুশি হন তা আমাদের বেশি বেশি করতে হবে। আমাদের সকলের আখিরাতের চিরস্থায়ী জিন্দেগীর জন্য আবাদ করতে হবে।’
স্বাস্থ্য সেবা ॥ টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েকটি ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এ হাসপাতালে ইজতেমা উপলক্ষে একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ওইসব ক্যাম্প থেকে ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বিদেশী মুসল্লি ॥ ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লা রায়হান জানান, ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথমদিন ৭২ দেশের ২ হাজার ১৫০ জন বিদেশী তাবলিগ অনুসারী মুসল্লি ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুম ॥ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ও মুসল্লিদের খেদমতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের (ডেসকো) পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
৩ মুসল্লির মৃত্যু ॥ ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লা রায়হান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা ৩ মুসল্লি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সকালে খুলনার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার লোকমান হোসেন গাজীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০) মারা যান। এছাড়াও ইজতেমায় আসা ঠাকুরগাঁও জেলার মৃত আব্দুলের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪৬) ও শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার রানী শিমুল গ্রামের মৃত সবেদুল্লার ছেলে সাবেদ আলী (৭০) মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী হাসপাতালে স্থাপিত সিভিল সার্জন এর কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন। তাদের সবার জানাজা ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ॥ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, জুমার নামাজ আদায় করতে আশপাশের জেলার অনেক মুসল্লিরা এখানে আসেন। জুমার নামাজ উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজটমুক্তভাবে চলাচলের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়েছে। ইজতেমার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে পুরো টঙ্গী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই-পকেটমারসহ অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে টহল টিম রয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইটভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল দেওয়া হচ্ছে ইজতেমা ময়দান এলাকায়। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে পুলিশ সদস্যরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন জানান, মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন, পর্যাপ্ত বিআরটিসি বাস ও লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। এছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠে মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানান, নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার ও আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন অন্তত, ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
ইজতেমার মুরব্বিদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান স্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।